বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন অভিষেক পত্নীকে তাঁর দুবাই যাত্রার উদ্দেশ্য এবং বিদেশে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হয় বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। রুজিরা পুরো বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দিয়েছেন। এই নথি খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। রুজিরার জেরা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা পরিবারের বিষয়। এই নিয়ে কিছু বলব না। ও খুব শান্ত মেয়ে, স্বাধীনচেতা। নিজেরটা ঠিক বলবে। কিন্তু ওরা (কেন্দ্রীয় এজেন্সি) কী বাঘ নাকি! মনে রাখতে হবে, ওদেরও একটা সীমাবদ্ধতা আছে। ওরা দেশের জন্য কাজ করে, বিজেপির জন্য নয়!
লুক আউট নোটিস থাকায় দুবাই যাওয়ার সময় কলকাতা বিমানবন্দরে অভিবাসন দপ্তরের তরফে রুজিরাকে আটকানো হয়। সেখানে তাঁকে নোটিস ধরিয়ে ইডি ৮ জুন আসতে বলে সিজিও কমপ্লেক্সে। সেইমতো বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ইডি দপ্তরে হাজির হন অভিষেক পত্নী। তার কিছুক্ষণ আগেই দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন তদন্তকারী অফিসার পঙ্কজ কুমার ও দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর। ইডি সূত্রে খবর, দুবাই যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে, অভিষেক পত্নী বলেন, মা অসুস্থ হওয়ায় তিনি দুবাই থেকে থাইল্যান্ড যেতেন। বিমানের টিকিটের সমস্যা থাকায় ব্রেক জার্নি করে যাওয়ার কথা ছিল। এরপরই ইডির অফিসাররা বিদেশের থাকা দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি পেশ করেন তাঁর সামনে। জানতে চাওয়া হয়, এই দুটি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তাঁর কাছে কী তথ্য রয়েছে। রুজিরার দাবি এই সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। জেরা শেষে বিকেল ৪.২০ নাগাদ বেরিয়ে যান রুজিরা। তিনি যে গাড়িতে চেপে সিজিও কমপ্লেক্সে এসেছিলেন, সেই গাড়িটি কোন সংস্থার নামে নিবন্ধীকৃত, তা খতিয়ে দেখছে ইডি।