রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
প্রতি বছর রাজ্যের প্রায় ১.১৫ কোটি পড়ুয়াকে দু’টি করে ইউনিফর্ম দেয় রাজ্য সরকার। আগে এই পোশাকের জন্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলির মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হতো। বর্তমানে চিত্রটা অনেকটাই বদলেছে। ২০২১ সালে রাজ্যের গৃহীত নীতির ভিত্তিতে বসেছে অত্যাধুনিক তাঁত মেশিন। সেখানে উৎপাদিত কাপড়ে ইউনিফর্ম তৈরি করছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। ফলে প্রচুর মানুষ কাজ পেয়েছেন। ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে রাজ্যের অর্থনীতিতেও। পাশাপাশি, পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হয়েছে রাজ্য।
নবান্ন সূত্রে খবর, ক্ষুদ্রশিল্প দপ্তরের অধীনে থাকা ডিরেক্টরেট অব টেক্সটাইলের বাজেট এস্টিমেট বা হিসাব অনুযায়ী ২০২৪ সালে ইউনিফর্ম তৈরির খরচ কমে দাঁড়াবে ৭৬০.৪৮ কোটি টাকায়। গত ২১ মে এই বাজেট এস্টিমেট পাঠানো হয়েছে ক্ষুদ্রশিল্প দপ্তরের প্রধান সচিব রাজেশ পাণ্ডেকে। এক আধিকারিক জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নেওয়া উদ্যোগ যে আজ রাজ্যের সামাজিক, প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে, তা পরিষ্কার।’ প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের কাছে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা এবং অন্যান্য খাতে রাজ্যের মোট বকেয়া ১.১৫ লক্ষ কোটি টাকা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে নিজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যায় সংকোচনে জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউনিফর্ম তৈরির জন্য প্রতি বছর প্রয়োজন হয় প্রায় ৪.৬ কোটি মিটার শুটিং-শার্টিংয়ের তাঁতকাপড়। এক আধিকারিক জানান, মাত্র দু’বছরে এই কাপড়ের অধিকাংশই রাজ্যে উৎপাদনের পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। আগামী এক বছরে বাকিটা হয়ে যাবে। ফলে এই খাতে খরচ আরও কমবে বলে আশা করাই যায়।