কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রাজ্য পুলিস সূত্রের খবর, এই ধরনের অভিযোগের সংখ্যা সম্প্রতি বেড়েছে। বিগত তিনমাসে বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে এই ধরনের অভিযোগের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়েছে। মে মাসেই ছয়টি ঘটনা সামনে এসেছে। আর একবছরের হিসেব ধরলে এই সংখ্যাটা ৫০ পেরিয়ে গিয়েছে। দুই ২৪ পরগনা, বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর ও শিলিগুড়িসহ গোটা রাজ্য থেকে এই ধরনের ভূরি ভূরি অভিযোগ এসেছে। চালক ফিরে আসার পরই ঘটনার বিষয়টি জানতে পারছে পুলিস। তবে চালককে খুনের পুরনো কৌশল ছেড়ে এবার নতুন পন্থা নিয়েছে তারা।
অফিসাররা জেনেছেন, বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে গাড়ি ভাড়ার বিজ্ঞাপন ও ফোন নম্বর থাকছে। তাতে যোগাযোগ করছে দুষ্কৃতীরা। রাজ্যের মধ্যেই কোনও একটি ট্যুরিস্ট স্পটে বেড়ানো বা অন্যকোনও কাজের বাহানা দেখিয়ে গাড়ি ভাড়া নিচ্ছে তারা। কলকাতার কোনও একটি জায়গা থেকে যাত্রী সেজে দু-তিনজন ব্যাগপত্তর নিয়ে উঠছে। হাইওয়েতে ওঠার পরই চালককে কোনও পানীয় বা অন্য খাবার খাওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে তারা। তাতে গোপনে মেশানো থাকে ঘুমের ওষুধ বা মাদক। চালক খেতে রাজি হলেই, সেটি তাঁর হাতে দিচ্ছে দুষ্কৃতী চক্র। অনেক ক্ষেত্রে আবার চালকের মুখ চেপে ধরে ঘুমের ওষুধের ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। চালক অচৈতন্য হওয়ার পরই গাড়ির দখল নিচ্ছে লুটেরা গ্যাং। চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে তারা হাইওয়ে ধরে চম্পট দিচ্ছে। হুঁশ ফেরার পর চালক দেখছেন রাস্তায় পড়ে আছেন তিনি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্য রাজ্যের সীমানা লাগোয়া হাইওয়েতেই চালকদের ফেলা হচ্ছে বলে খবর।
জেলায় জেলায় এই ধরনের কিছু ঘটনা সামনে আসায় বাড়তি উদ্যেগী হয়েছে পুলিস। অফিসারদের অনুমান, এই দলটি ভিন রাজ্যের। সেখানে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর নম্বর প্লেট ও গাড়ির রং বদলে অন্য জায়গায় বেচে দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এমনকী, এই গাড়ি অনলাইনে বিভিন্ন সাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে বেচাকেনা চলছে। তা কিনে ঘটানো হচ্ছে অন্য অপরাধও। কিছু গাড়ি আন্তর্জাতিক চোরাই চক্রের হাত ধরে ঢুকছে নেপালে। বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে গ্যাংটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন অফিসাররা।