কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্যসমাপ্ত দুয়ারে সরকারে এই প্রকল্পের সূচনা হয়। সেখানে ৫৭,৯৬৮টি আবেদন জমা পড়েছে। তাতে মোট ঋণের পরিমাণ ২,০৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪৩ হাজারের কিছু বেশি আবেদন ব্যাঙ্কের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে, ৯ হাজারের মতো আবেদন গ্রহণ করে তা মঞ্জুর করে দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। বাকিগুলিও দ্রুত করার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো রাজ্য একটি তহবিল তৈরি করেছে, যেখান থেকে ‘লোন ডিফল্টারদের’ নেওয়া ঋণের টাকা পরিশোধ করা হবে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে কেউ ব্যবসা বাড়াবেন, কেউ-বা মুদির দোকান বড় করবেন বলে জানিয়েছেন। যেমন কোচবিহারের দিনহাটার সরিতা ধর বলেন, ‘মায়ের সঙ্গে শাড়ি নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় বিক্রি করি। পুঁজি কম, তাই স্টক বেশি নেই। ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার আবেদন করেছি। সেটা পেলে ব্যবসা বাড়াব।’ গোসাবার পাঠানখালির বাসিন্দা অজিতেশ মণ্ডল ছোটখাট ইমারতির ব্যবসা করেন। তিনি বর্ষার আগে ইট, বালি সিমেন্ট মজুত করে রাখতে চান, যাতে সেই সময় তা বিক্রি করতে পারেন। তার জন্য চার লক্ষ ৯০ হাজার টাকা ঋণের আবেদন করেছেন। আবার বিষ্ণুপুরের জিতা মণ্ডল ছোট মুদির দোকান বড় করতে পাঁচ লক্ষ টাকার আবেদন করেছেন। টাকা পেলে অনেক সুবিধা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে, এই প্রকল্প নিয়ে জেলায় জেলায় নিয়মিত বৈঠক এবং নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক, চেম্বার এবং অন্যান্য মহলের সঙ্গে যথাসময়ে আলোচনা করতে হবে। ব্যাঙ্কগুলি যাতে দ্রুত আবেদন গ্রহণ করে টাকা ছেড়ে দেয়, তার জন্য তাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, জেলা থেকে যে পরিমাণ ঋণ মঞ্জুর করার জন্য ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়েছে, তার সবটা গ্রাহ্য নাও হতে পারে। অর্থাৎ, শেষমেশ কত টাকা মঞ্জুর হবে, সেটা বহুলাংশে ব্যাঙ্কের উপর নির্ভর করছে।