রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে এদিন কলকাতার বিধান ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করার কথা ছিল লোকসভায় কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার গৌরব গগৈয়ের। কিন্তু তা বাতিল হয়। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের বাকরাহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের শ’খানেক তৃণমূল কর্মী কংগ্রেসে যোগদান করেন। এরপরই কংগ্রেসের মিছিল শুরু হয় বিধান ভবনের সামনে থেকে। প্রায় একই সময়ে মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিলে বিমানবাবু ছাড়াও পা মেলান মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র, নরেন চট্টোপাধ্যায় সহ বাম নেতৃত্ব। অসিত মিত্র, সৌম্য আইচ রায়, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, কৌস্তভ বাগচীদের নেতৃত্বে কংগ্রেসের মিছিলটি মৌলালিতে বামেদের সঙ্গে মিশে যায়।
পার্ক সার্কাসে লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজের কাছে ম্যাটাডরের দাঁড়িয়ে সভা করার কথা ঘোষণা করেন বিমানবাবু। সেই ঘোষণা শুনে ম্যাটাডরে ওঠার হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। জায়গা ভরে যাওয়ায় সেলিম বা সূর্যকান্তর মতো নেতারা অস্থায়ী মঞ্চে উঠতেই পারেননি। ম্যাটাডরের উপর এক কংগ্রেস কর্মী পতাকা নাড়ার সময় লাঠির খোঁচা লাগে প্রবীণ নেতার চোখে। বিরক্ত বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, ‘শুধু নির্বাচন নয় বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে যেকোনও লড়াইতে সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ দল এবং সংগঠনকে স্বাগত জানাই। তবে শৃঙ্খলা মানতে হবে। আজ আমার চোখ নষ্ট হয়ে যেত। একটুর জন্য বেঁচে গিয়েছে।’ শহিদ মিনার ময়দানে তৃণমূলের সভা থেকে ফেরার পথে কয়েকটি গাড়ি বাম-কংগ্রেসের মিছিলের উল্টো লেনে ঢুকে পড়ে। তবে স্লোগান-পাল্টা স্লোগান ছাড়া কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রাতে আলিমুদ্দিনে ফোন করে বিমানবাবুর চোখের খবর নিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র।