কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
‘১০০ দিনের কাজ’ সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা মোদি সরকারের কাছে প্রাপ্য বলে দাবি রাজ্যের। সেই সঙ্গে ইডি, সিবিআইকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার, রান্নার গ্যাস সহ বিভিন্ন পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে আম জনতার নাভিশ্বাস—এসব ইস্যুতে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণের সমাবেশ এবং পরে আম্বেদকর মূর্তির সামনে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না মঞ্চে অভিষেক তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপিকে। তাঁর কথায়, ‘২০২১ সালের নির্বাচনে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়ার পর থেকে রাস্তা, আবাস, ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। ২০১৪ সালে নির্বাচনী প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদি দু’হাতে লাড্ডু তুলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আজ প্রাপ্য টাকা আটকে রেখে বাংলার হাতে লাড্ডু দেওয়ার কাজটাই করেছে কেন্দ্র।’ গত দু’বছরে ১৫১টি কেন্দ্রীয় টিম পাঠানো নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে অভিষেকের দাবি, কেউ বিজেপিতে গেলে তাঁর ধারেকাছে ঘেঁষছে না ইডি, সিবিআই। নিশানায় থাকছে তৃণমূল ও দেশের অন্য বিরোধী দলগুলি। বিজেপি করলে এক আইন, আর তৃণমূল বা অন্য দলের ক্ষেত্রে আর এক আইন হবে কেন? নিয়োগ দুর্নীতির কিংপিন প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাটে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল পাওয়া গিয়েছিল। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ হবে না কেন?’
দুর্নীতি ইস্যুতে এর আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন অভিষেক নিজেও। এ প্রসঙ্গে তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ে বলেন, ‘কয়লা-গোরু-নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার প্রমাণ দিতে পারলে এই শহিদ মিনার প্রাঙ্গণেই মৃত্যুবরণ করব।’ কর্মীদের বরাভয় দিয়ে তাঁর নির্দেশ, ‘মাথা উঁচু করে বুক ঠুকে মানুষের কাছে যাবেন। তাঁদের বলবেন, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতার বিরুদ্ধে তৃণমূলই ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু হিমন্ত বিশ্বশর্মা, বিশ্বজিৎ কুন্ডু বা বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি বিজেপি।’ রাহুল গান্ধী সংক্রান্ত সুরাত আদালতের রায় হাতিয়ার করে এক মাসের মধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের সম্পর্কে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে তাঁদের মুখে কুলুপ কেন, প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক।