পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শুক্রবার বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ১০০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র, স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং অর্থসচিব মনোজ পন্থ। রাজ্যস্তরের ব্যাঙ্কার্স কমিটির এই বৈঠকে সমস্ত প্রতিনিধিই ভবিষৎ ক্রেডিট কার্ডের ব্যাপারে সম্মতি দেন। অমিতবাবু জানান, এই কার্ডের মাধ্যমে ঋণের ১৫ শতাংশ অর্থের নিশ্চয়তা বা ক্রেডিট গ্যারান্টি দেবে রাজ্য। বাকি ৮৫ শতাংশের নিশ্চয়তা দেবে সিডবির ক্রেডিট গ্যারান্টি ট্রাস্ট ফর স্মল অ্যান্ড মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ। সিডবির সঙ্গে কথা বলে এই ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকারই। ফলে ঋণ দেওয়ার সময় টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে দু’বার চিন্তা করতে হবে না ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে। এছাড়া, প্রকল্পের উপভোক্তাদের ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবে রাজ্য। ফলে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সি প্রায় দু’লক্ষ যুবকযুবতী এই কার্ডের মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে চলেছেন। আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া দুয়ারে সরকার শিবিরেই এই কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে।
অন্যদিকে, আগামী অর্থবর্ষে ক্ষুদ্রশিল্প, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, কৃষি, মৎস্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোট ২.৭০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ প্রদানের টার্গেট নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অমিতবাবু। এর ফলে বিপুল কর্মসংস্থান হবে বলে তিনি দাবি করেছেন। চলতি অর্থবর্ষে রাজ্যে ক্ষুদ্রশিল্পে ঋণের মাত্রা ছাড়িয়েছে ১.১৪ লক্ষ কোটি টাকা। এর ফলে রাজ্যের জিডিপি বাড়বে চার গুণ। ৪১ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
পাশাপাশি, ৮.৩৬ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের এবার গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন ব্যাঙ্কের বিজনেস কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে রাজ্য। আরও বেশি মহিলাকে এই কাজে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে অনুরোধ করেছে রাজ্য সরকার।