বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সরকারি কর্মীদের চাকরি জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি হল সার্ভিস বুক। চাকরি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এর মধ্যে নথিভুক্ত থাকে। জন্মতারিখ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরিতে যোগ দেওয়ার দিন থেকে অবসরের দিন এতে উল্লেখ থাকে। এছাড়া কর্মীদের ছুটির হিসেব, বেতন ক্রম, পদোন্নতি, বদলি, চাকরিজীবনে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলে সেই সংক্রান্ত তথ্য ইত্যাদি। সার্ভিস বুক নিয়মিত আপডেট করা হয়। অবসর নেওয়ার পর পেনশন ও অন্যান্য প্রাপ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সার্ভিস বুকের গুরুত্ব অপরিসীম। এখন অফিসের মধ্যে সব কর্মীর সার্ভিস বুক রেজিস্ট্রার রাখা থাকে। ই-সার্ভিস বুক হয়ে গেলে এটি অনলাইনে থাকবে। ফলে সার্ভিস বুক হারানোর বা নষ্ট হওয়ার কোনও আশঙ্কা থাকবে না। ই-সার্ভিস বুক তৈরির পর তা ঠিক আছে কি না তা সংশ্লিষ্ট কর্মী খতিয়ে দেখবেন। তথ্য ভুল থাকলে তা সংশোধন করে নেবেন। সার্ভিস বুক ঠিকঠাক হল কি না সেটা পরীক্ষা করে দেখবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। পুরো প্রক্রিয়াটি কীভাবে হবে তা অর্থদপ্তর চূড়ান্ত করলেও কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি।
তবে সরকারি কর্মী মহলের বক্তব্য, ই-সার্ভিস বুক তৈরির জন্য অফিসে আরও অনেক কম্পিউটার, স্ক্যানার প্রভৃতির দরকার। অফিসে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপকরণ না থাকলে কাজ থমকে যাবে। সরকারি অফিসের বেশিরভাগ কাজকর্ম কম্পিউটারের মাধ্যমে। ই-ফাইলের মাধ্যমে সব কাজ করতে চাইছে সরকার। কিন্তু এর জন্য আরও কম্পিউটার থাকা দরকার।