পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কেন্দ্রের ন্যাশনাল রুরাল লাইভলিহুড মিশন প্রকল্পের সাহায্য পাওয়ার পর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জীবিকায় কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে, তা তুলে ধরাই এই সমীক্ষার উদ্দেশ্য। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, গোষ্ঠীর মাধ্যমে সহজ শর্তে ঋণ পেয়ে ব্যবসা, হস্তশিল্প সামগ্রী তৈরি বা অন্য কোনও কাজের মাধ্যমে বছরে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করছেন অজস্র মহিলা।
রাজ্যে এই সমীক্ষার কাজ পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমে হুগলি জেলায় শুরু হয়। ওই জেলায় ‘লাখপতি দিদি’র সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে অন্যান্য জেলাতেও শুরু হয়েছে সমীক্ষার কাজ। পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বাকিদের থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে, গ্রামগঞ্জের বহু মহিলা ছোট আকারে ব্যবসা শুরু করে এখন তা যথেষ্ট বড় করে ফেলেছেন।
এখনও পর্যন্ত যা হিসেব, তাতে ‘লাখপতি দিদি’র সংখ্যার নিরিখে দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে তিন নম্বর স্থানে। শীর্ষে মহারাষ্ট্র। তারপর মধ্যপ্রদেশ। বড় রাজ্যগুলির মধ্যে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ সবচেয়ে ব্যর্থ। আরেক ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্য গুজরাতে এখনও পর্যন্ত মাত্র আড়াই হাজার ‘লাখপতি দিদি’র খোঁজ মিলেছে। প্রসঙ্গত, বাজেট ভাষণে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, সারা দেশে ৮১ লক্ষর বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলার প্রকল্প ‘টুকলি’ করা হয়েছে। সারা দেশে এই সংখ্যক স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করা তো কোনও ব্যাপার নয়। বাংলাতেই ১১ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাই ‘লাখপতি দিদি’ সমীক্ষায় উঠে আসা বাংলার সাফল্যের চিত্র বিজেপির ‘সুশাসন’ মডেলকে আরও একবার কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল।