গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
অনিন্দ্যবাবু জানান, বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাটের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কার্পেট, পাপোশ, পাটের ব্যাগের পাশাপাশি অলঙ্কার, জুতো, শাড়ি, পোশাক তৈরি হচ্ছে। এইসব জিনিস তৈরির জন্য জুট রিসোর্স মেটিরিয়াল ব্যাঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। এখান থেকে পাটশ্রমিকরা পাট নিতে পারবেন। ন্যশানাল জুট ডেভেলেপমেন্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে এইসব নতুন জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠী প্রশিক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারে। তবে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। এখানে প্রথম তিন সপ্তাহ বেসিক, পরে দু’ সপ্তাহ অ্যাডভান্সড এবং পরে দু’ সপ্তাহ ডিজাইনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শুধু প্রশিক্ষণ দেওয়া নয়, পাশাপাশি এইসব জিনিস বিক্রির জন্য জুট রিটেল আউটলেট স্কিমে দোকান খোলার ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হচ্ছে।
অনিন্দ্য আচার্য জানান, এর পাশাপাশি পাটের পণ্য বিদেশে রপ্তানিকারকদের উৎসাহ দিতে প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভের স্কিমের ব্যবস্থা থাকছে। এই স্কিমে অন্যান্য জিনিষের পাশাপাশি পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করার ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচের পাঁচ শতাংশ অথবা রপ্তানির তিন শতাংশ, যেটা কম হবে তার উপর ভিত্তি করে ইনসেনটিভ দেওয়া হবে। অঙ্কটা বছরে সর্বোচ্চ ১২ লক্ষ টাকা হতে পারে। এছাড়াও রপ্তানিকারকদের উৎসাহ দিতে বিভিন্ন মেলায় আমরা ওঁদের নিয়ে যাই। পাটশ্রমিকরা জুট বোর্ডের মাধ্যমেও বেশ কিছু সুবিধা পেতে পারেন। তার মধ্যে অন্যতম- শ্রমিকদের মেয়েরা মাধ্যমিক পাশ করলে ৫ হাজার ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলে ১০ হাজার টাকা স্কলারশিপ পেতে পারে। ওই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো কলকাতার অতিরিক্ত মহা নির্দেশক জেন নামচু, কলকাতার যুগ্ম অধিকর্তা পার্থ ঘোষ প্রমুখ।