কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গা রিভার বেসিন প্রকল্পে এই কাজ করা হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গঙ্গা দূষণ অনেকটাই কমবে।রাজ্যের মধ্যে পাঁচটি পুরসভাকে এই প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাকপুর মহকুমার গারুলিয়া পুরসভা, নদীয়া জেলার চাকদহ এবং শান্তিপুর পুরসভা রয়েছে। আর হুগলি জেলার চাঁপদানী এবং ভদ্রেশ্বর পুরসভা রয়েছে। এই পাঁচটি পুরসভা এলাকার জন্য প্রায় ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই টাকা দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। গারুলিয়া পুরসভা এলাকায় এই প্রকল্পের জন্য সব থেকে বেশি পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই পুরসভায় বৈদ্যুতিক চুল্লি এবং স্যোয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের জন্য ৪ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এমনিতেই এই পুরসভা এলাকার ড্রেনের নোংরা জল, নাইট সয়েল সবই গঙ্গায় মিশে জলকে দূষিত করত। ফলে এই এলাকায় সুয়ারেজ প্ল্যান্ট তৈরি করা হচ্ছে। আর গঙ্গার ধারে রত্নেশ্বর শ্মশানঘাট রয়েছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান রমেন দাস বলেন, সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি করা হলে নাইট সয়েল নির্দিষ্ট একটি জায়গায় জমা করে তা থেকে সার তৈরি করা হবে। আর বৈদ্যুতিক চুল্লির ফার্নেস অকেজো হয়ে গিয়েছে। তাই, সেখানে নতুন করে ঢেলে সংস্কার করার জন্য আর্থিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ দুটি হওয়ার খুবই প্রয়োজন ছিল। অবশেষে এই প্রকল্পের কাজ হওয়ায় আমরা খুশি।
জানা গিয়েছে, গারুলিয়া ছাড়াও চাকদহ পুরসভা এলাকায় বৈদ্যুতিক চুল্লির জন্য ১ কোটি ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। শান্তিপুর পুরসভা এলাকায় বৈদ্যুতিক চুল্লির ফার্নেসের জন্য ৫৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চাঁপদানী পুরসভা এলাকায় একাধিক ওয়ার্ড জুড়ে খাটাল রয়েছে। যা নিয়ে এলাকার মানুষ তিতি বিরক্ত। তাই এই পুরসভা এলাকায় গোবর গ্যাস প্রকল্পরের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আর ভদ্রেশ্বর পুরসভা এলাকায় সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের তিন কোটি দশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।