পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সূত্রের খবর, দায়িত্বপ্রাপ্ত
সমীক্ষক সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জনসংখ্যার বিচারে এই
মুহূর্তে সারা বিশ্বে ভারতীয় যুবরাই সংখ্যায় সর্বাধিক। যুবকদের কাছে টানতে পারলেও যুবতীদের সার্বিক সমর্থন পেতে ব্যর্থ বিজেপি। গত বছর একাধিক বিধানসভা নির্বাচনে
পদ্ম-পার্টির পরাজয়ের পিছনে যুবতীদের একটা বড় অংশের ভোট না পাওয়াকে অন্যতম ফ্যাক্টর চিহ্নিত করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের যুবতীদের ভোটব্যাঙ্কে আরও ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে।
ওই ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের দিকে ফেরাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। তাই ‘মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট’ প্রকল্পে আকর্ষণীয় হারে (৭.৫ শতাংশ) সুদ মিলবে বলে জানানো হয়েছে। আর দিল্লিতে চলতি মাসের শেষদিকে ‘রাষ্ট্রীয় যুবতী সম্মেলন’ আয়োজন করে এই অংশের মহিলাদের একটি বার্তা দিতে চাইছে বিজেপি। সর্বভারতীয় এক বিজেপি নেতা বলেন, দেশের প্রতিটি রাজ্য থেকে মনোনীত ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সি মহিলাদের নিয়ে এই সম্মেলন করা হবে। মূল উদ্দেশ্য, নারী ক্ষমতায়নে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্প সম্পর্কে প্রশিক্ষিত করা। পাশাপাশি, হাজার পাঁচেক যুবতীর মধ্যে থেকে আগামীর মহিলা নেতৃত্ব তুলে আনার লক্ষ্যও রয়েছে। ওই নেতার কথায়, প্রশিক্ষণের পর এই যুবতীদের গ্রামে গ্রামে পাঠানো হবে। তাঁরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে মোদি সরকারের সাফল্যের সাতকাহন প্রচার করবেন। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, বাড়ি বাড়ি প্রচারে পুরুষ কর্মীদের বদলে নারীরা মুখ্য ভূমিকা নিলে বাড়তি সুবিধা মেলে। কারণ, সেক্ষেত্রে বাড়ির মহিলারা মন খুলে কথা বলতে পারেন। তাঁদের বক্তব্যও বেশি গ্রহণযোগ্য হয়।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি যুব মোর্চার পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ বলেন, মহিলা ক্ষমতায়নে কেন্দ্রীয় সরকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে অর্থমন্ত্রী— একাধিক সুউচ্চ পদে নারীরাই আজ অধিষ্ঠিত। যুবতী সম্মেলনের জন্য রাজ্য থেকে আমরা ১৫০ জনকে বাছাই করেছি। তাঁরাই সম্মেলন থেকে ফিরে জেলা এবং মণ্ডল স্তরে প্রচারের মুখ হয়ে উঠবেন। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায়ও ‘যুবতী সম্মেলন’ হবে। যুবতীদের ভোট পেতে এটাই আপাতত বিজেপির কৌশল।