পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন আদালতের এজলাসে দাঁড়িয়ে কুন্তল জোর গলায় দাবি করেন, তাঁর কোনও সম্পত্তি নেই। কিন্তু ইডির দাবি, ইতিমধ্যেই কুন্তলের নামে ও বেনামে বেশ কিছু ফ্ল্যাট সহ স্থাবর সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু ওই সাড়ে ৬ কোটি টাকা এখন কোথায়? কোন কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ‘ট্রান্সফার’ হয়েছিল ওই টাকা? কোন কোন এজেন্ট ‘ভাগ’ পেয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। আরও কয়েকটি প্রশ্ন তাঁদের ভাবাচ্ছে। কুন্তল যাঁদের বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিতেন, সেই প্রভাবশালী কারা? তাঁদের আত্মীয়রাও কি কুন্তলের কাছে গাড়ি পেয়েছেন? এই ‘উপহার’ দেওয়ার বিনিময়ে কুন্তলের কী ‘প্রাপ্তি’ হতো? তদন্তকারীদের ধারণা, এই প্রক্রিয়ায় কুন্তলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও মাস্টারমাইন্ড ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কুন্তলের যে নিবিড় যোগাযোগ ছিল, সে বিষয়ে নিশ্চিত ইডির আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, পার্থবাবুর নাকতলার বাড়িতে টাকা নিয়ে যেতেন কুন্তল। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে ‘খুশ’ রাখতে শুধু টাকা দিয়েই ক্ষান্ত থাকতেন না যুবনেতা! ইডি সূত্রে দাবি, একবার ২৫ কেজি ইলিশ মাছ ‘ভেট’ নিয়ে নাকতলায় হাজির হয়েছিলেন কুন্তল। পার্থবাবু যে খাদ্যরসিক, সে কথা বিলক্ষণ জানতেন ওই যুবনেতা। তাই মন্ত্রীমশাইয়ের রসনাতৃপ্তির আয়োজনে খামতি রাখেননি তিনি। তদন্তে আগেই জানা গিয়েছিল, বহুমূল্য একটি ফল নিয়মিত নাকতলার বাড়িতে আসত। সেই ফলের দাম শুনে মধ্যবিত্তর চোখ কপালে উঠেছিল। এরপর সামনে এল ইলিশ-বৃত্তান্ত। এর কত দাম হতে পারে, তা বাঙালির হিসেব করতে অবশ্য বেশি সময় লাগবে না!