কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কয়লা-গোরু পাচার কাণ্ডের কিং পিন বিনয় মিশ্র এখনও অধরা। তাঁর খুব কাছাকাছি তদন্তকারীরা পৌঁছে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তদন্তে উঠে এসেছে, বেআইনি কয়লা পাচারের টাকা যেত বিনয়ের কাছে। গোরু পাচারের টাকাও এনামূলের মাধ্যমে বিনয়ের কাছে গিয়েছে বলে জেনেছে তদন্তকারী সংস্থা। একইসঙ্গে কয়লা পাচারের মামলায় ইডির হাতে ধৃত রাজ্য পুলিসের এক ইনসপেক্টর এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে গিয়েছেন।
এই বিপুল পরিমাণ কালো টাকা কীভাবে সাদা হল, তাই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। জানা যায়, ৫০টিরও বেশি কোম্পানি তৈরি করে এই টাকা ঢোকানো হয়েছে। পরে সেখান থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। কলকাতার ঠিকানায় কোম্পানি ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, বিহার সহ বিভিন্ন রাজ্যের ঠিকানায় কোম্পানি খোলা হয়েছে। ডিরেক্টর হিসেবে দেখানো হয়েছে সেখানকার বাসিন্দা কোনও ব্যক্তিকে। এই সমস্ত কোম্পানির নথি খতিয়ে দেখে ইডি জেনেছে, সবকটি কাগুজে কোম্পানি। গোটা পরিকল্পনাটি ছিল বিনয় ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের মস্তিষ্কপ্রসূত। তদন্তে উঠে আসে, কোম্পানির টাকা প্রাইভেট অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। আবার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের টাকা ওই কাগুজে কোম্পানিতে চলে এসেছে। এখান থেকেই ইডি অফিসাররা নিশ্চিত হন, দুয়ের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে।
যে সমস্ত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকার লেনদেন হয়েছে, তার সমস্ত নথি জোগাড় করা হয়। এগুলি নিয়ে ইডির দিল্লি অফিসে কাটাছেঁড়া শুরু করেন তদন্তকারী অফিসাররা এবং অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ৩০০’র বেশি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা ঘোরানো হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলি ‘ফ্রিজ’ করা হয়েছে। তবে আরও কিছু অ্যাকাউন্টের তথ্য আসছে। তাই সংখ্যাটা ৫০০ ছুঁয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তদন্তে উঠে এসেছে, ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের একাংশ বিনয় মিশ্র সহ চক্রের অন্যদের অ্যাকাউন্ট খুলতে সাহায্য করেছেন। সংশ্লিষ্ট অফিসারদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের খুব শীঘ্রই দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়ে জেরা শুরু হবে ইডি সূত্রে খবর।