কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
১৬০০ অতিরিক্ত বা সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করে শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা বিভাগে নিয়োগের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মীনাক্ষী ঘোষ সহ কয়েকজন প্রার্থী। সেই মামলায় রাজ্য সরকার এবং এসএসসি’র ভিন্ন অবস্থানের জেরে ১৮ নভেম্বর নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বসু। সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ ছিল ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বুধবার শুনানির পর স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাতে সামঞ্জস্য আনতে সরকারকে উপযুক্ত নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। এদিন অবৈধভাবে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের প্রসঙ্গ উঠতেই রাজ্য সরকারের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘শহর ও শহরতলিতে বহু স্কুল আছে, যেখানে পড়ুয়া আছে, শিক্ষক নেই। যদি সম্ভব হয় এই শিক্ষকদের গ্রামের স্কুলে পাঠান। বহু স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই।’ এরপরই ছাত্র এবং শিক্ষকের অনুপাতে সামঞ্জস্য বিধানে উপযুক্ত নীতি নির্ধারণের ব্যাপারে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন বিচারপতি।
এদিকে, নবম-দশমে কতজনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে, সেই তথ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন শুনানিতে কমিশন জানিয়েছে, তাদের তথ্য অনুযায়ী ১৮৩ জনকে বেআইনিভাবে চাকরির সুপারিশ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই তারা তা হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে। তবে এদিন সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ১৮৩ জন নয়, তাদের তালিকা অনুয়ায়ী ৯৫২ জন বেআইনিভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। প্রত্যেকেরই ওএমআর শিটে জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। এছাড়াও এদিন সিবিআই ২০ জন প্যানেলভুক্ত ও ২০ জন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীর ওএমআর শিট জমা দিয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের নম্বরই বেআইনিভাবে বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের এই তথ্য শোনার পরই বিচারপতি বলে ওঠেন, ‘ছিল রুমাল হয়ে গেল বিড়াল।’ আজ ফের এই মামলার শুনানি। আজই এই মামলায় প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে আদালত।