গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্য হরিয়ানায় মারা গিয়েছেন ৩৩ জন, গুজরাতে ২৮ জন। ওই সময়সীমায় কর্ণাটকে নর্দমা এবং সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন শ্রমিক। ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলির এই পরিসংখ্যানও সারা দেশের নিরিখে প্রায় সামনের সারিতেই রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে শ্রমিক মৃত্যুর নিরিখে উত্তরপ্রদেশের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লি। ২০১৭ থেকে ২০২১ - নর্দমা ও সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জন শ্রমিকের। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাস থেকেই ‘ম্যানুয়াল স্ক্যাভেনজিং’ আইন করে বন্ধ করেছে তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার।
এমএস অ্যাক্ট অনুসারে ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে কোনও ঠিকাদার সংস্থা অথবা ব্যক্তি ম্যানুয়াল স্ক্যাভেনজিংয়ের কাজে কোনও শ্রমিককে নিয়োগ করতে পারবে না। আইন লঙ্ঘন করলে নিয়োগকারী সংস্থা অথবা ব্যক্তির দু’বছর পর্যন্ত জেল বা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা, কিংবা দুটোই হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, সেক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ কিংবা অন্য রাজ্যগুলিতে নর্দমা অথবা সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে এই যে এত শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, তার জন্য নিয়োগকারী সংস্থাগুলিকে কি শাস্তির মুখে পড়তে হবে না? যদিও শাস্তি মিলেছে কি না, সেই ব্যাপারে সরকারিভাবে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।