বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বেশ কিছু সময় ধরেই দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ ট্রেনগুলির দীর্ঘ ওয়েটিং লিস্ট জমা পড়ার পরও বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্টই কম। পুজোর মরশুমেও সেই অভিযোগ থেকেই গেল। খোদ রেলের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকেই এই অভিযোগের সত্যতা স্পষ্ট হয়। মঙ্গলবার নবমীর দিন ঘটা করে ভারতীয় রেল পুজো, দীপাবলি ও ছটপুজো উপলক্ষে বিশেষ ট্রেনের যে তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানে বাংলার প্রতি বঞ্চনা স্পষ্ট হয়েছে। ৩ অক্টোবর থেকে ছট পুজো পর্যন্ত যেসব বিশেষ ট্রেন দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে দক্ষিণ পশ্চিম রেলওয়েতেই ২২টি বিশেষ ট্রেন ৪৩৩টি ট্রিপ করবে। নর্দান রেলওয়ের ৩৫টি বিশেষ ট্রেন ৩৬৮টি ট্রিপ করবে। ওয়েস্টার্ন রেলওয়েতে ১৮টি বিশেষ ট্রেন ৩০৬টি ট্রিপ করবে। এছাড়াও নর্থ সেন্ট্রাল রেলওয়ের ৮টি ট্রেন ২২৩, সাউথ সেন্ট্রাল রেলওয়ে ১৯টি ট্রেন ১৯১টি ট্রিপ করবে।
পূর্ব রেলে যে কয়েকটি বিশেষ ট্রেন চলছে তার মধ্যে কয়েকটি সুবিধা স্পেশাল ট্রেন রয়েছে, যেগুলির ভাড়া অনেকটাই বেশি। এই অবস্থায় ট্রেন না পাওয়ার জেরে পুজোর পরে ভ্রমণ পরিকল্পনা হোঁচট খাচ্ছে রাজ্যবাসীর। দুর্গাপুরের বাসিন্দা বৈশাখী পাল বলেন, খুব ইচ্ছে ছিল দার্জিলিং হয়ে সিকিমের সিল্করুট যাব। ট্রেনের টিকিটই পেলাম না। সবই তো ওয়েটিং। একই দশা আসানসোলের সন্তোষ মণ্ডলের। তিনিও পরিবার নিয়ে পুরী যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন ট্রেনের কনফার্মড টিকিট না পাওয়ায়। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ওয়েটিং লিস্ট দেখেই স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পূর্ব রেলের জন্যও পর্যাপ্ত ট্রেন দেওয়া হয়েছে।