যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
সিবিআই জানিয়েছে, এসএসসি গ্রুপ সি পদে যে ৩৮১ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ২২২ জন চাকরির পরীক্ষাই দেননি। বাকিরা পরীক্ষা দিলেও উত্তীর্ণ হতে পারেননি। প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৯ সালের মে মাসে। তারপরই ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, ভুয়ো নিয়োগের যাবতীয় পরিকল্পনা করেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ। এস পি সিনহা এবং কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাকরিপ্রাপকদের সুপারিশ পাঠিয়ে তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এস পি সিনহা এবং কল্যাণময়ের হাত ঘুরে সেই নথি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তাদের কাছে পৌঁছয়। সিবিআইয়ের আরও দাবি, পার্থবাবুর নির্দেশক্রমেই বিভিন্ন জোনের এসএসসি চেয়ারম্যানের স্ক্যান করা সই সংগ্রহ করা হয়। সেই সই ব্যবহার করে তৈরি হয় নিয়োগপত্র। এই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সৌমিত্র সরকার নামে এক এসএসসি কর্তা সহ আরও কয়েকজনের। মন্ত্রীর নির্দেশমতো নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয় অযোগ্য প্রার্থীদের হাতে। অথচ তাঁদের কারও নাম মেধা তালিকাতেই ছিল না। তদন্তকারীদের বক্তব্য, কোনও চাকরিপ্রার্থীকে এভাবে হাতে হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া যায় না। চিঠি তাঁদের ঠিকানায় পাঠাতে হয়। উদ্ধার হওয়া সংশ্লিষ্ট ওএমআর শিট থেকে দেখা গিয়েছে, এই প্রার্থীদের একটা বড় অংশ সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন। আবার কেউ কেউ পরীক্ষায় শূন্য পেয়েছেন। তাঁদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয় অবৈধ উপায়ে। চূড়ান্ত তালিকায় উত্তীর্ণ ও যোগ্যদের নীচের দিকে পাঠিয়ে উপরের দিকে রাখা হয় অনুত্তীর্ণদের।
এই বেআইনি নিয়োগ করতে অভিযুক্তরা ‘অনৈতিক সুযোগ’ নিয়েছিলেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ তদন্তকারী সংস্থা ঘুরিয়ে দাবি করছে, মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে। সিবিআইয়ের তরফে এদিন আদালতকে জানানো হয়, তদন্ত শেষ হয়নি। আরও অনেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্নীতির টাকা কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে, সেসব খোঁজ চলছে। এগুলির সন্ধান মিললে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।