কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এই মুহূর্তে জিআই প্রাপ্তির বিচারে রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে প্রথমে রয়েছে কর্ণাটক। দক্ষিণের এই রাজ্যে ৩৯টি পণ্যের জিআই রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে মহারাষ্ট্র। তাদের দখলে রয়েছে ৩০টি জিআই যুক্ত পণ্য। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে তামিলনাড়ু (২৮টি) ও উত্তরপ্রদেশ (২৫টি)। নবান্ন সূত্রে দাবি, রাজ্যের জিআই প্রাপ্ত পণ্যের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে গেলে তা দেশের মধ্যে নজির তৈরি করবে। রাজ্যের সাফল্যের কাছে পিছিয়ে পড়বে বিজেপি শাসিত কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ।
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাংলার নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী পণ্য, খাদ্যসামগ্রী, কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর ‘বিশ্বায়ন’কে পাখির চোখ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসব সামগ্রীর গুণগত মান সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে ঢালাও সরকারি সাহায্যের ব্যবস্থা করেন তিনি। ৩৪ বছরের বাম শাসনে রাজ্যের মাত্র সাতটি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেয়েছিল। সেই জায়গায় মমতার আমলে এখনও পর্যন্ত ১৫টি পণ্যের জিআই তকমা মিলেছে। যে পণ্যগুলির জিআই চাওয়া হয়েছে, সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল টাঙ্গাইল শাড়ি, গরদের শাড়ি, সুন্দরবনের মধু, কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল ও সরপুরিয়া, মালদহ সিল্ক ইত্যাদি। প্রসঙ্গত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরকে রাজ্যের পণ্যের জিআই চেয়ে আবেদন করতে হয়। কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন কন্ট্রোলার জেনারেল অব পেটেন্ট, ডিজাইন, কপিরাইট সেই আবেদন খতিয়ে দেখে স্বীকৃতি প্রদান করে।
এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের যুগ্মসচিব সুদীপ্ত পোড়েল বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই ২২টি দ্রব্যের জিআই স্বীকৃতি পেয়েছি। আরও ৬০টি দ্রব্যের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কয়েকমাসে মধ্যে অধিকাংশ পণ্য জিআই পাবে বলে আমরা আশাবাদী। জিআই পেলে কী কী সুবিধা হবে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জিআই পেলে কোনও পণ্য বিদেশে বিপণন ও ব্যবহারের সঠিক মানদণ্ড বজায় থাকবে। অনলাইন বিপণনও সহজ হবে। চালু থাকবে সংশ্লিষ্ট পণ্যের ধারাবাহিক উৎপাদন। উদাহরণ হিসেবে জয়নগরের মোয়ার কথা বলা যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নির্দিষ্ট এলাকার জলবায়ু ও মাটিতে উৎপন্ন কনকচূড় ধান ও খেজুর গুড়ের সংমিশ্রণে এই মোয়া তৈরি হয়। জিআই ট্যাগ পাওয়ার পর জয়নগরের মোয়া ‘নকল’ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। স্বভাবতই স্থানীয় উৎপাদকদের কাঙ্খিত লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে। সেই সঙ্গে জয়নগরের মোয়ার সুখ্যতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের দরবারে।