নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুজোর আগে ফের প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীদের ভাগ্য খুলল। শুধু তাই নয়, বর্তমানে প্রাথমিকস্তরে যে শূন্যপদ রয়েছে, যোগ্যতার ভিত্তিতে তা পূরণের প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৪ সালে যে টেট অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তার ভিত্তিতে মোট ৫৯ হাজার ৪৪৯ জন সফল প্রার্থী প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পান। প্রথম দফায় ২০১৬ সালে শূন্যপদের ভিত্তিতে মোট ৪২ হাজার ৯৪৯ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এরপর ২০২০ সালে ফের ১৬ হাজার ৫০০টি শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে পর্ষদ। নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পরও বেশ কিছু শূন্যপদ রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিয়োগ করা হচ্ছে না। এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন ২৫২ জন চাকরিপ্রার্থী। সেই মামলার সূত্রেই প্রাথমিকস্তরে মোট শূন্যপদের সংখ্যা যাচাইয়ের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি মামলাকারীদের আইনজীবী ও পর্ষদকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন। এরপর জানা যায়, বর্তমানে প্রাথমিকে শূন্যপদ রয়েছে ৩ হাজার ৯২৯টি। সোমবারের শুনানিতে মামলাকারী ২৫২ জনকে ওই শূন্যপদের ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি ভুল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করায় বাড়তি নম্বর যুক্ত হওয়ার পর টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন আরও ৬৫ জন। তাঁদেরও নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, পর্ষদকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে সবক’টি শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ নভেম্বর। এই নির্দেশের পর নতুন কতজন চাকরি পেয়েছেন, ওইদিন পর্ষদকে সেই তথ্য জানাতে হবে। এছাড়াও আরেকটি মামলায় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক পদে আরও ৬৫ জন টেট উত্তীর্ণকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালের টেটে ছ’টি প্রশ্ন ভুল থাকার বিষয়টি আগেই নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে। ওই প্রশ্নগুলির উত্তর লেখার চেষ্টা করলেই নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই সূত্রে হাইকোর্টে দফায় দফায় একাধিক মামলা হয়। স্বাভাবিকভাবেই যাঁরা প্রশ্নগুলির উত্তর লেখার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের পক্ষেই রায় দেয় আদালত। তেমনই ৭৭ এবং ১১২ জনকে আগেই নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এবার আরও ৬৫ জন প্রার্থীকে পুজোর আগেই নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি।