তুচ্ছ কারণে অশান্তিতে দাম্পত্যে চাপ বৃদ্ধি। ব্যবসায় ভালো কেনাবেচা হবে। আর্থিক উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
কালিম্পং থেকে পীর ধরা পড়ার পর তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন। এই মোবাইলই তদন্তের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ক্লু হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোবাইলের কল ডিটেইস ও হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট ঘেঁটে তদন্তকারীরা জেনেছেন, বাংলাদেশে পীরের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গেও সে কথাও বলত। তারা কারা, তার তথ্য খুঁজতে গিয়ে জানা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও আইএসআই এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাদের কাছে মাঝেমধ্যেই দেখা করতে আসে আইএসআই এবং পাক সেনার লোকজন। এখান থেকেই সন্দেহের সূত্রপাত। পীরকে জেরা করে জানা যায়, পাক সেনার এক পদস্থ কর্তার সঙ্গে তার হোয়াটস অ্যাপে চ্যাট হতো। এসটিএফের দাবি, হোয়াটঅ্যাপ চ্যাটের প্রমাণ মিলেছে। মেজর পদাধিকারী ওই আর্মি অফিসারের নির্দেশমতো সে বাংলাদেশে গিয়েছিল ২০২১ সালে। সেখানে গিয়ে দেখা করে পাক সেনায় কর্মরত কয়েকজন অফিসারের সঙ্গে। মূলত কী ধরনের নথি পাঠাতে হবে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে তার প্রশিক্ষণ হয়। তাকে বলা হয় ছাউনিতে বাঙ্কার কোথায় রয়েছে, ভিতরে সেনারা কীভাবে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এই সংক্রান্ত ছবি পাঠাতে। সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করে রাখতে চাইছিল পাক সেনা এবং আইএসআই। যাতে ভবিষ্যতে একেবারে সঠিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা যায়। এসটিএফের দাবি, বাংলাদেশে পীরকে অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল।
পীর তদন্তকারীদের জানিয়েছে, তার কাছে আইএসআইয়ের তরফে জানতে চাওয়া হয়, ভারতীয় সেনায় আউটসোর্সিং করা কোনও কর্মী আছে কি না, অথবা ছাউনিতে নির্মাণ বা অন্য কোনও কাজের জন্য বাইরের কোনও লোকজন রয়েছে কি না। অভিযুক্ত জানায়, সে এই নিয়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট মাধ্যমে সেনায় কর্মরত বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছে। কোন কোন কাজ আউটসোর্সিং করা হয়েছে এবং কোন কোন ছাউনিতে নিমার্ণের কাজ চালাচ্ছে বাইরের লোকজন, সেই তথ্য জোগাড় করে পীর। তাদের কয়েকজনকে নিজের জালে ফাঁসিয়ে নেয় পীর। তাদের সঙ্গে চ্যাটের নথি হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। এদের বিষয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে।।
পাশাপাশি পীরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নথি থেকে তদন্তকারীরা জেনেছেন, বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ঢুকেছে। পাশাপাশি আইএসআইয়ের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য পীর বেশ কিছু ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। সেগুলির বিষয়ে তথ্য জোগাড় করার কাজ চলছে।