কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত ছ’দিন ধরে সুবীরেশ সিবিআই হেফাজতেই ছিলেন। সেই মেয়াদ আরও চারদিন বৃদ্ধির আর্জি জানায় সিবিআই। তাদের অভিযোগ, সুবীরেশ তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। এদিন ফের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের যুক্তি খাড়া করে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে চান তদন্তকারীরা। তাঁদের আইনজীবী বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যদের ধরতে সুবীরেশকে হেফাজতে রাখা প্রয়োজন। সিবিআইয়ের নির্দিষ্ট অভিযোগ, ওএমআর শিটে নম্বর কারচুপিতে সুবীরেশ সরাসরি যুক্ত। দু’টি জাল ওএমআর শিট বিচারককে দেখানোও হয়।
এরপরেই সুবীরেশের আইনজীবী রূপরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করেন। তাঁর যুক্তি, এতদিন হেফাজতে রাখলেও তাঁর মক্কেলকে জেরা করা হয়নি। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, সুবীরেশকে জেরার সময় তাঁর আইনজীবী এক ঘণ্টা থাকতে পারবেন। সেই মতো ২২ সেপ্টেম্বর এক আইনজীবী সিবিআই দপ্তরে গিয়েছিলেন। সেদিন জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘আজ জেরা হচ্ছে না।’ আইনজীবীর দাবি, কবে কখন জেরা হবে, সেই দিনক্ষণ এসএমএস বা ফোন করে সিবিআই জানিয়ে দেবে—এটাই নিয়ম। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করেনি। তাহলে হয় সিবিআই জেরাই করেনি অথবা জেরার সময় আইনজীবীকে না ডেকে আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে তারা। বিচারক তখন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক রিসিনামল কে সি-কে জিজ্ঞাসা করেন, সুবীরেশকে জেরা করেছেন? ওই আধিকারিক জানান, ২১ তারিখ জেরা করা হয়েছিল। তখন আবারও বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন তিনি। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, বাকি দিনগুলো জেরা না করেই বলছেন যে উনি অসহযোগিতা করছেন? আবার হেফাজতে নিয়েও তো সেই একই কথা বলবেন। বিচারকের এহেন রোষের মুখে পড়ে একটা সময় তদন্তকারী আধিকারিক চুপ করে যান। শেষ পর্যন্ত সিবিআইয়ের আর্জি খারিজ করে দিয়ে আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।