কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, গত এক-দেড় মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি হু হু করে বেড়েছে পজিটিভিটিও। দেখা যাচ্ছে, করোনার পজিটিভিটিকেও পিছনে ফেলে অনেক এগিয়ে গিয়েছে ডেঙ্গু। বর্তমানে ডেঙ্গু টেস্ট করালে দেখা যাচ্ছে, প্রতি ৭ জনের মধ্যে একজন পজিটিভ! বাংলার ডেঙ্গু পজিটিভিটি তেরোর বেশি। স্বাস্থ্যভবনের শেষ সাপ্তাহিক ডেঙ্গু রিপোর্ট (বছরের ৩৮ সপ্তাহ বা গত বুধবার পর্যন্ত আসা রিপোর্ট) থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। আর সেখানে পুজো শপিং ও নানা কারণে বাড়লেও, কোভিডের পজিটিভিটি এখন ডেঙ্গুর অর্ধেকেরও কম—কমবেশি ৫।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শঙ্কার কারণ শুধু এটি নয়। শঙ্কার কারণ হল, এনএস ১ এবং আইজিজি/আইজিএম—দুই ধরনের টেস্টের পরিমাণ অনেকটা বাড়ানোর পরও ডেঙ্গুর পজিটিভিটি কমছে না। কোভিডের সময় সচরাচর দেখা যেত, টেস্ট বাড়লে পজিটিভিটি কমছে। টেস্ট কমলে পজিটিভিটি বাড়ছে।
৩৪ থেকে ৩৮ সপ্তাহ—অর্থাৎ গত ১ মাসের কিছু বেশি সময়ে রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। কিন্তু, ডেঙ্গু পজিটিভিটি কমার নাম নেই। উল্টে বেড়েই চলেছে। তাতেই বিশেষজ্ঞরা প্রমাদ গুনছেন।
শেষ ৫ সপ্তাহের ডেঙ্গু পরীক্ষা ও পজিটিভিটির তুলনা করে গ্রাফ তৈরি করেছিলেন স্বাস্থ্যভবনের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সেই গ্রাফের বামদিকে রয়েছে সাপ্তাহিক ডেঙ্গু পরীক্ষার সংখ্যা। নীচে রয়েছে কোন সপ্তাহের হিসেব, তার উল্লেখ। এবং একেবারে ডানদিকে রয়েছে ডেঙ্গু পজিটিভিটি।
তাতে দেখা যাচ্ছে, বছরের ৩৪তম সপ্তাহ অর্থাৎ আগস্টের গোড়ায় বাংলার ডেঙ্গু পজিটিভিটি ছিল ৬-এর আশপাশে। অর্থাৎ প্রতি ১০০ জন ডেঙ্গু পরীক্ষা করালে ৬ জনের রক্তে ভাইরাস ধরা পড়েছিল। সেসময় রাজ্যজুড়ে সাপ্তাহিক ডেঙ্গু পরীক্ষা হতো আনুমানিক ১৫ হাজার।
দু’সপ্তাহের মধ্যেই, বছরের ৩৬তম সপ্তাহে বাংলার ডেঙ্গু পজিটিভিটি ৮ ছাড়িয়ে যায়। অর্থাৎ ১০০ জন পরীক্ষা করালে দেখা গিয়েছিল ৮ জনই পজিটিভ। ৩৭ সপ্তাহের আগেই পজিটিভিটি ১০ ছাড়িয়ে যায়। ৩৮তম সপ্তাহে (গত সপ্তাহে) তা বেড়ে হয় তেরোরও বেশি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সাপ্তাহিক টেস্ট ১৫ হাজার থেকে বেড়ে এখন হয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার। কিন্তু পজিটিভিটি কমার নামগন্ধ নেই।