পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বর্তমানে জেল হেফাজতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার তরফে আগেই আদালতে জানানো হয়েছিল, দুর্নীতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা। কিন্তু তদন্ত এগনোর সঙ্গে সঙ্গে অফিসাররা জানতে পারছেন এই আশঙ্কা ভুল। অঙ্কটা ৫০০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই টাকার একটা বড় অংশই বিদেশে পাচার হয়ে গিয়েছে হাওলার মাধ্যমে।
পার্থ ও অর্পিতার মোবাইল ঘেঁটে একটি ‘কমন’ নম্বর পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। ওই নম্বরে বিভিন্ন সময় ফোন গিয়েছে দু’জনের ফোন থেকে। প্রতিবারই কথা হয়েছে প্রায় ২০-৩০ মিনিট। সেই ফোন নম্বরের সূত্র ধরেই খোঁজ মেলে খিদিরপুরের এক ব্যবসায়ীর। জানা যায়, ব্যাংককে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। এখান থেকেই সন্দেহের সূত্রপাত। অর্পিতাকে এবিষয়ে জেরা করতেই পর্দাফাঁস হয় রহস্যের। তিনি জানান, ওই ব্যবসায়ী প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। মাঝেমধ্যে আসতেন হরিদেবপুর ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে। এমনকী পার্থবাবুর নাকতলার বাড়িতেও গিয়েছেন। সেই সব জায়গা থেকে তিনি টাকা সংগ্রহ করতেন বলে অভিযোগ। তবে প্রতিবার জায়গা বদল করে। সূত্রের দাবি, ওই ব্যবসায়ী সরাসরি বিদেশে টাকা পাঠাতেন না। হাওলা করত অন্য ব্যক্তি।
এরপর কয়েকজন হাওলা ব্যবসায়ীকে জেরা করে পোলক স্ট্রিট এলাকার এক কারবারির নাম পান ইডি অফিসাররা। জানা যায়, দুর্নীতির টাকা তাঁর হাত ঘুরে ব্যাংককে পাঠাতেন খিদিরপুরের ওই ব্যবসায়ী। ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ধাপে ধাপে ৯০ কোটি টাকা গিয়েছে থাইল্যান্ডে। অন্য দেশেও অর্থ পাচারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইডি জেনেছে, ব্যাংককের একটি মার্কেটে প্রচুর ভারতীয়ের ব্যবসা রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন খিদিরপুরের ওই ব্যবসায়ী। তদন্তকারীদের দাবি, উদ্ধার হওয়া নথি অনুযায়ী ওই প্রবাসী ভারতীয়দের ব্যবসায় দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে মোবাইল ও তার সরঞ্জাম কেনাবেচার বড় বড় কোম্পানি যেমন রয়েছে, তেমনই আছে ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম সংস্থা। ব্যাংককে যেহেতু নগদে কারবার চলে, তাই হাওলার কালো টাকা লগ্নিতে অসুবিধা হয়নি। এরকম কয়েকটি কোম্পানির নাম হাতে এসেছে ইডি আধিকারিকদের। তাদের বিরুদ্ধে কী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।