গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ের কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে, এখন তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই। এই কাজে নেমে এএনএম অ্যাগ্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির খোঁজ পায় তারা। রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজ (আরওসি)-র কাছ থেকে সেটির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জানা যায়, কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। আর সেই সংস্থারই আওতাধীন এই ভোলে ব্যোম রাইস মিল। ওই মিলের জমির দলিল জোগাড় করে তদন্তকারী সংস্থা। তাতে দেখা যায়, অনেকদিন আগেই প্রায় ৪৫ বিঘা জমির উপর সেটি তৈরি হয়েছে। আগে এই জমিতে পাশাপাশি দু’টি পৃথক মালিকানার মিল ছিল। ২০১২ সাল নাগাদ প্রায় সাত কোটি টাকা দিয়ে এএনএম অ্যাগ্রোর নামে সে দু’টি কেনা হয়। যাবতীয় নথি হাতে নিয়ে এদিন সেখানে হানা দেন তদন্তকারীরা। কিন্তু তাঁদের ফটকেই আটকে দেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। ৪০ মিনিট ঠায় দাঁড়িয়ে থাকার পর গেটের চাবি খুলে দেওয়া হয়। সিবিআই আধিকারিকরা জেনেছেন, মিলটি প্রায় দু’মাস ধরে বন্ধ। আগে অনুব্রত নিজেই এই মিলে আসতেন। বৈঠক করতেন অনুগামীদের নিয়ে। সম্প্রতি তাঁর অনুগামীরা এদিকের পথ মাড়াচ্ছে না। মিল চত্বরের মধ্যে ৫টি বিলাসবহুল গাড়ি পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হুডখোলা গাড়ি। যেটি অনুব্রত নির্বাচনী প্রচারের সময় ব্যবহার করতেন। এছাড়া, ডব্লুবি ৫৪ইউ ৬৬৬৬ নম্বরের যে গাড়িটি নিয়ে অনুব্রত এপ্রিল মাসে কলকাতায় এসেছিলেন, তারও দেখা মেলে ওই জায়গায়। সেটি নিয়ে এদিন নয়া বিতর্ক দানা বেঁধেছে। প্রবীর মণ্ডল নামে সিউড়ির এক ব্যবসায়ী দাবি করেন, একটি টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার জন্য অনুব্রতকে প্রায় ছ’কোটি টাকা এবং ৪৬ লক্ষ টাকা দামের ওই গাড়িটি দিতে হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর সংস্থা কাজটি পায়নি। এমনকী গাড়িটিও ফেরত পাননি। উল্টে, গাঁজা কেসে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকিও নাকি দেওয়া হয়। প্রবীরবাবু আরও বলেন, ‘গাড়িটি আমার নামেই রয়েছে। তিলপাড়া ব্যারেজ সংস্কারের কাজের জন্য ওই টাকা ও গাড়ি দিতে বাধ্য হয়েছিলাম।’ সিউড়িরই আর এক ব্যবসায়ী অরূপরতন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ২০১৮ সালে তিনিও একটি গাড়ি অনুব্রতকে দিতে বাধ্য হন একটি নির্দিষ্ট টেন্ডার পাওয়ার জন্য। সঙ্গে আরও দেড় কোটি টাকা। পরে দেহরক্ষী সায়গলের মাধ্যমে অনুব্রত ধাপে ধাপে তাঁর কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়েছেন। তারপরও সেই কাজ তিনি পাননি। সেই সময় ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি তাঁরা। এখন পরিস্থিতি ‘অন্যরকম’ বলেই দাবি ওই ব্যবসায়ীদের।