গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
নবান্ন সূত্রে খবর, খরচ হওয়া সত্বেও কাজ হয়নি এমন ঘটনা উঠে এসেছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সোশ্যাল অডিট ইউনিটের সমীক্ষাতেই। যার জেরে টাকা উদ্ধারের সুপারিশ করেছে এই ইউনিট। প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগে এই একই কারণে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও মালদহ সহ চারটি জেলাকে জরিমানা করেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এক আধিকারিকের ব্যাখ্যা, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের অধিকাংশই হয়ে থাকে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে টাকা উদ্ধারে রাজ্যের সময় বেঁধে দেওয়ায় বেশ প্যাঁচে পড়তে চলেছে পঞ্চায়েতগুলি। ১০০ দিনের কাজের অধীনে মূলত দুটি ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ হয়ে থাকে। উপাদান বাবদ বরাদ্দ এবং অদক্ষ শ্রমিক যারা কাজ করে, তাদের মজুরি সোজাসুজি যায় তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে। অর্থাৎ, উপাদান বাবদ যে খরচ দেখানো হয়েছে, তা উদ্ধার করতে গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির পাশাপাশি টাকা ফেরত দিতে দায়বদ্ধ থাকবে সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদারও। ওই প্রকল্পগুলিতে কাজ করা অদক্ষ শ্রমিকদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট অর্থ ফেরত নেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না এই ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ আমলারা।
রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার প্রতিটি জেলার গ্রামোন্নয়নের কাজের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন পঞ্চায়েত দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এই বৈঠকেই ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টাকা উদ্ধার করে ‘কেস ক্লোজ’ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টাকা উদ্ধার না হলে ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় দলের সুপারিশ অনুযায়ী কাজ, শৃঙ্খলারক্ষা এবং এই ক্ষেত্রে যে এফআইআর হয়েছে, তা নজরে রাখার কথাও বলা হয়েছে।