বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দক্ষিণবঙ্গের সিংহভাগ জেলা এমনকী, উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি কম হলে ধানের ফলন মার খাবে। আবার বেশি বৃষ্টি হলেও ক্ষতি হতে পারে ধানের। বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পে খরিফ মরশুমে ধান ও ভুট্টার বিমা করা যায়। এর জন্য কৃষককে প্রিমিয়াম গুনতে হয় না। পুরো প্রিমিয়ামই দেয় রাজ্য সরকার। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধানের জন্য বিমা করার সময় আছে। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বেশি সংখ্যক কৃষক যাতে বাংলা শস্যবিমার আওতায় আসে, তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত কৃষি বিমা সংস্থার মাধ্যমে বাংলা শস্যবিমা প্রকল্প কার্যকর করা হয়। রাজ্য সরকার প্রিমিয়ামের টাকা বিমা সংস্থাকে দেয়। এলাকাভিত্তিক ক্ষতির মাত্রা যাচাই করে বিমা সংস্থা ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয়। কৃষিদপ্তর ও বিমা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত খরিফ মরশুমে প্রায় ৪২ লক্ষ কৃষক ধানের জন্য বাংলা শস্যবিমা করিয়েছিলেন। এবার সেই সংখ্যাকে টপকানোই সরকারের লক্ষ্য। বিমা সংস্থার এক আধিকারিক বলেছেন, হাতে এখনও সময় আছে। গতবারের তুলনায় এবার বেশি সংখ্যক কৃষকের নাম নথিভুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিমা করানোর জন্য সরকারি পর্যায়ে সক্রিয়তা বেশি। শুধু কৃষিদপ্তর নয়, ব্লক পর্যায়েও তৎপরতা বেড়েছে। এবার প্রচারের জন্য এই প্রথম রাস্তায় ট্যাবলো নামানো হয়েছে।
বিমা সংস্থা সূত্রে খবর, কম ফলন হলে তো বটেই, এমনকী প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত ধান চাষ করতে না পারলে যাঁরা বিমা করিয়েছেন, তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। ওই ক্ষতিপূরণের টাকায় তাঁরা বিকল্প কোনও চাষ করতে পারবেন।