আজ রবিবার, বাংলা নববর্ষ ১৪৩১। বাঙালির ‘পয়লা বৈশাখ’। নতুন এই বছরে বাংলা তথা বাঙালির আরাধ্যা দেবী দুর্গা তিন তিনবার পূজিত হবেন। বিষয়টি আশ্চর্যের হলেও, পঞ্জিকা সে কথাই বলছে। বছর শুরুর দিন, আজ তিনি পূজিত হবেন ‘বাসন্তী দুর্গা’ রূপে।
ব্যবধান মাত্র ৪৮ ঘণ্টার। ফের বোমা ফাটাল সেন্টার ফর দ্য স্টাডিজ অব ডেভেলপিং সোসাইটিজ (সিএসডিএস)। মূল্যবৃদ্ধি-বেকারত্ব নিয়ে দেশবাসীর মনোভাব তুলে ধরে আগের রিপোর্টে মোদি সরকারের কপালের ভাঁজ চওড়া করেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ সহায়তায় চলা এই ঐতিহ্যবাহী সমীক্ষক সংস্থা।
১০ মার্চ ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে উৎখাত করার দামামা বাজিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আওয়াজ তুলেছিলেন, ‘জনগণের গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন’। তার ঠিক এক মাসের মাথায় মমতার সেই হুঙ্কার বাস্তবিকই বদলে গেল সাধারণ মানুষের গর্জনে।
উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পুনর্মূল্যায়ন করছে রাজ্য। কতগুলি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে, আর কতজনের আংশিক ক্ষতি হয়েছে- তা খতিয়ে দেখার জন্য নতুন টিম পাঠানো হয়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়।
নবরাত্রিতে বিরোধীদের মাংস খাওয়া নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার মিড ডে মিলের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীকে এর জবাব দেওয়ার উদ্যোগ নিল রাজ্যের স্কুল শিক্ষাদপ্তর। নববর্ষ উপলক্ষ্যে সোমবার রাজ্যজুড়ে সমস্ত স্কুলে বিশেষ মেনু রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্গাপুজোর এখনও প্রায় ছ’মাস বাকি। তবে কুমোরটুলিতে টুকটাক প্রতিমা বানানো চলছে। সাড়ে ছ’ফুট দৈর্ঘের একটি ফাইবারের দুর্গা বানানো শেষ হয়েছে। সেটি এবার চলল আমেরিকা।
‘বিচ্ছিন্ন হয়েছিলাম। দূর থেকে দেখতাম কাছের ইন্ডিয়াকে! বড় দেশ, বড় আশ্রয়, ওখানে থাকলে ভালো কিছু হবে মনে হয়েছিল। হাল ফিরবে সংসারের, নিজেদের। এই আশাতেই বাংলাদেশের দিকে থাকা ছিটমহল থেকে এপারের মাটিতে পা রেখেছিলাম, ভারতীয় হয়েছিলাম।
দুপুর সাড়ে ১২টা। কানায় কানায় পরিপূর্ণ দিনহাটার সংহতি ময়দান। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার নামতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল আম জনতা। অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁরা দাঁড়িয়ে। হেলিপ্যাড থেকে সভামঞ্চ।
রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্য খাদ্য দপ্তরে ফুড ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় গরহাজির সরকার পক্ষ। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের হুঁশিয়ারি, রাজ্যের গা ঢিলেমির জন্যই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না। আগামী শুনানির সময় যদি রাজ্যের তরফে আইনজীবীরা উপস্থিত না থাকেন, তাহলে এক তরফাভাবেই রায় ঘোষণা করতে বাধ্য হবে আদালত। কিন্তু ঠিক কোন মামলায় আদালতের এমন কড়া মন্তব্য? ২০১০ সালে রাজ্য খাদ্য দপ্তরে ফুড ইন্সপেক্টর গ্রেড-৩ পদে ৬১৪ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। অভিযোগ, কোনওরকম নিয়ম না মেনেই ওই নিয়োগ হয়। যে কারণে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাটে মামলা দায়ের হয়। স্যাট নিয়োগ খারিজের নির্দেশ দেয়। স্যাটের সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ প্রাপ্তরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ২০১৬ সালের ১০ জুন মামলাটি ফের স্যাটে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। দীর্ঘ শুনানির পর স্যাট ফের ওই ৬১৪ জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি তৎকালীন নির্বাচক বোর্ডের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ দায়েরেরও নির্দেশ দেন। এছাড়া খাদ্য দপ্তরকে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারক। গোটা প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য স্যাটের তরফে আট সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ওই ৬১৪ জন এবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। সেই আবেদনের শুনানি চলছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে। এর আগে মামলায় রাজ্যকে বেশ কিছু নির্দিষ্ট তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বেঞ্চ। আজ, শুক্রবার সেই নথি পেশের কথা ছিল। কিন্তু শুনানি শুরু হতেই রাজ্যের তরফে আইনজীবী সায়ন গঙ্গোপাধ্যায় শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। এই আর্জি শোনার পরই রাজ্যের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি ট্যান্ডন। বিচারপতির মন্তব্য, আদালত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চাইছে। অথচ, রাজ্য ইচ্ছাকৃতভাবে সময় নষ্ট করছে। রাজ্যের এই আচরণ মোটেই অভিপ্রেত নয়। আগামী মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন। সেদিন রাজ্যের আইনজীবীদের বাধ্যতামূলক উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতির আরও মন্তব্য, ওইদিন রাজ্যের তরফে কেউ উপস্থিত না থাকলে একতরফা নির্দেশ দেবে আদালত।
