বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যে সাঁড়াশি আক্রমণ শুরু করেছে ইডি ও সিবিআই। এসএসসি, গোরু পাচারের পর এবার কয়লা কাণ্ডের পালা। আসানসোল, দুর্গাপুরের অবৈধ খাদান থেকে তোলা কয়লা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে পাচার হল কীভাবে? শীর্ষ আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে চায় ইডি। অফিসারদের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, আসানসোল, দুর্গাপুর, পুরুলিয়া, বর্ধমান, বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জেলায় কাজ করে যাওয়া শীর্ষ আমলা, পুলিস কর্তা এবং নবান্নের শীর্ষ আধিকারিকদের একাংশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝি ওরফে লালার। সেই সুবাদে বিভিন্ন জেলার ইটভাটা, স্পঞ্জ আয়রন কারখানা সব বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে অনায়াসে পাচার করা হতো ‘কালো হীরে’। কয়লার লরির অবাধে যাতায়াতের জন্য ছিল বিশেষ টোকেন। রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিস কর্মীকে সেটি দেখালেই কেল্লাফতে। বিনিময়ে মিলত আর্থিক সুবিধা। এটাই ছিল ১০ বছরের রুটিন।
খোঁজখবর করতে গিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসে ইডির। তারপরেই কয়লার লরি জাতীয় সড়ক ধরে যে যে জেলায় ঢুকত, সেখানকার তৎকালীন জেলাশাসক ও পুলিস কর্তাদের তালিকা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, মূলচক্রী অনুপ মাঝির ফোনের ফরেন্সিক পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট আইপিএস ও আমলাদের নাম, কল ডিটেইলস এবং হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ মিলিয়ে দেখা হয়। এরপর একে একে তলবের নোটিস। সেটাও বছর খানেক আগে। কিন্তু তখন অনেকে হাজিরা দেননি। এবার সেই পুলিস কর্তাদের পাশাপাশি আইএএসদেরও তলব শুরু হল। ইডির দাবি, সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সম্পর্কে সমস্ত নথি ও তথ্যপ্রমাণ এখন তাঁদের হাতে। কেউ নোটিস এড়িয়ে গেলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে।