গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সিবিআই আইনজীবীর দাবি, গোরু পাচারকারীদের কাছ থেকে দেহরক্ষীর মাধ্যমে বিপুল টাকা সংগ্রহ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। ব্যাঙ্কেও তাঁর যে বিপুল অর্থ, সম্পত্তির হদিশ মিলেছে তার উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন রয়েছে। গোরুপাচারের কিংপিন এনামুলের সঙ্গেও রয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সিবিআই সূত্র জানিয়েছে, অনুব্রতর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই ৫ কোটির বেশি টাকা আছে। একবারে ৩০-৪০ লক্ষ টাকারও লেনদেন ঘটেছে। অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানান সিবিআই আইনজীবী। অনুব্রত এজলাসে আইনজীবীর মাধ্যমে সিবিআইকে সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এদিন অভিযুক্তের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেননি। আইনজীবী শেখর কুণ্ডু, সোমনাথ চট্টরাজরা বলেন, আমরা সিবিআই হেফাজতের তীব্র বিরোধিতা করেছি। তবে, মামলার গুরুত্ব বুঝেই জামিনের আর্জি জানানো হয়নি।
এদিন, বাজেয়াপ্ত হয়েছে অনুব্রতর মোবাইল ফোনও। সিবিআই মনে করে, এই আর্থিক অপরাধের জেরে সরকারের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। নোটিস পেয়েও হাজিরা এড়ানোর জন্য অনুব্রত যে কৌশল করেছেন সেটাও কোর্টে তুলে ধরে সিবিআই।
আদালতের সময়কালের মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র ২ মিনিট আগে বিকেল ৪টে ৫৮ মিনিটে অনুব্রতকে সেখানে হাজির করে সিবিআই। কোর্টে ঢোকার মুখেই জনতা ‘গোরু চোর’ স্লোগান দেয়। জুতো উঁচিয়ে বিক্ষোভও দেখায়। সওয়াল শেষে বিচারক ধৃতকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনার শরীর এখন কেমন? হাঁফাতে হাঁফাতে তিনি জবাব দেন, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ফিসচুলায় ভুগছি। রয়েছে হাই প্রেশারও। বিচারক পাল্টা প্রশ্ন করেন, আজকের মেডিক্যাল পরীক্ষায় এসব দেখা যাচ্ছে না। সিবিআই সূত্র জানিয়েছে, শীতলপুর গেস্ট হাউসে অনুব্রত মধ্যাহ্নভোজন সারেন। সেখানেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইসিএল হাসপাতালের সুপার তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা করেন।