বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অনুব্রত যে হাজিরার নোটিসে সাড়া দেবেন না, ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিল প্রথম নোটিসের পরবর্তী ঘটনাক্রমেই তা বুঝে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। অনুব্রতর তদন্তে অসহযোগিতা সংক্রান্ত নথি তৈরি করতে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ফের ডাক পড়ে। সেখানেও যথারীতি গরহাজির ছিলেন তিনি। ১১ দিন পর আবার ডাক পান। উত্তর আসে একই। এরপর মার্চ থেকে আগস্ট— প্রতি মাসে এক বা দু’বার ডাক পেয়েছেন তিনি। তার মধ্যে গত ১৮ মে প্রথম বারের জন্য নিজাম প্যালেসে সিবিআই কার্যালয়ে আসেন তিনি। কয়েকঘণ্টা থেকে কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই চলে যান। এরপর আর নিজাম প্যালেসের দরজা মাড়াননি। বারবার না এসে তিনি যে সিবিআইয়ের হাতেই মোক্ষম অস্ত্রটি তুলে দিচ্ছেন, তাও বুঝতে পারেননি। এর ফলে সাক্ষী থেকে হয়ে যান অভিযুক্ত, আর নিজের জালে নিজেই জড়িয়ে পড়েন।
দু’দিন আগে দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনাগর কলকাতায় এসে বুঝিয়ে দেন, এবার অনুব্রত না এলে আর অপেক্ষা করা হবে না। কখন তাঁর বাড়িতে কীভাবে ‘অপারেশন’ চালাতে হবে, সব কিছুই তিনি ঠিক করে যান। অনুব্রত শেষ পর্যন্ত নিজের প্রভাব খাটিয়ে বাঁচার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যান। এদিকে, বুধবার রাতেই দিল্লির সিবিআই কর্তারা প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেন। গভীর রাতে, সকলের অলক্ষ্যে বীরভূমে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সকাল ৭টায় তাঁদের কাছে কলকাতা থেকে নির্দেশ আসে। ওদিকে, সকালেই দিল্লির অফিসে পৌঁছে যান ভাটনাগর। সামান্য কিছু আলোচনার পর আধিকারিকদের অনুব্রতর বাড়ির দিকে যাওয়ার নির্দেশ দেন। প্রতি মুহূর্তে তিনি যোগাযোগ রাখছিলেন অফিসারদের সঙ্গে। দিচ্ছিলেন প্রয়োজনীয় পরামর্শও। অবশেষে ‘পিসফুল অপারেশন’ চালিয়ে অনুব্রতকে জালে তোলে তদন্তকারী দল। সিবিআইয়ের এক অফিসারের কথায়, অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করেছেন আমাদের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর। আর পাঁচটা মামলার সঙ্গে এটিকে আলাদা করে দেখার কোনও কারণ নেই বলে তিনি আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন।