নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আদিবাসী পড়ুয়াদের সিকলসেল অ্যানিমিয়া রয়েছে কি না, তা নির্ধারণ করতে তাদের রক্ত পরীক্ষা করবে আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর। গোড়ায় এই রোগ ধরতে পারলে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে তা নির্মূল করাই দপ্তরের উদ্দেশ্য। আপাতত বিভিন্ন জেলায় কতজন আদিবাসী পড়ুয়া রয়েছে, তার হিসেব কষা চলছে। কোনও কোনও জেলায় এই কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় ক্যাম্প করে এই কাজ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সিকলসেল অ্যানিমিয়া কী? চিকিৎসকদের মতে, এটি একটি জেনেটিক অসুখ। রক্তের লোহিত কণিকা কাস্তের মতো আকার নেয়। এই রক্তকণিকা বেশিদিন বাঁচে না। ফলে রক্তাল্পতা দেখা দেয়। বাবা ও মা— দু’জনের জিনে সিকলসেল অ্যানিমিয়া থাকলে, সন্তানদের এই রোগের সম্ভাবনা প্রবল। বিশেষজ্ঞদের মতে, আদিবাসীদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি। তাই স্কুল পড়ুয়ারা কারা কারা এই রোগে আক্রান্ত, তা ধরতে চাইছেন চিকিৎসকরা।
রাজ্যে আদিবাসী পড়ুয়ার সংখ্যা লক্ষাধিক। শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই সংখ্যা প্রায় ছ’হাজার। গোসাবা ও বাসন্তী ব্লকে এই সংখ্যা বেশি। এক আধিকারিক বলেন, করোনার জন্য এই প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। এখন সব স্বাভাবিক হতেই দপ্তর উদ্যোগ নিয়েছে। মূলত অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের রক্ত পরীক্ষা করা হবে। তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা করা হবে।