বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর ২০১৮ সালে এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। আইনজীবী উদয়শঙ্কর বেতাল আদালতকে জানান, স্নাতকোত্তর যোগ্যতার জন্য মামলাকারী শুকদেব মাইতিকে যথাযথ নম্বর দেওয়া হয়নি। অথচ, একই যোগ্যতাসম্পন্ন অন্যান্যরা বেশি নম্বর পেয়ে চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে (স্যাট) সুবিচার মেলেনি। বেঞ্চ জানিয়েছে, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে যেখানে স্বচ্ছতা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ, সেখানে স্যাট তার দায়িত্ব থাযথভাবে পালন করেনি।
বেঞ্চের নির্দেশে যে মেধা তালিকা পেশ হয়, তা পর্যবেক্ষণ করে বেঞ্চ জানিয়েছে, ইন্টারভিউতে কে কত নম্বর পেয়েছেন, তা দেখানো হয়েছে। কিন্তু, অন্যান্য যোগ্যতার ক্ষেত্রে কার কত নম্বর, তা জানা যাচ্ছে না। বেঞ্চের নির্দেশে এদিন ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সচিব হাজির হন। শুনানি সূত্রে জানা যায়, যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই স্রেফ ইন্টারভিউয়ের নম্বরের ভিত্তিতেই সুযোগ পান, যা সঠিক নয় বলে অভিমত দেয় বেঞ্চ।
বেঞ্চ বলেছে, পছন্দের কিছু প্রার্থীকে নিয়োগ কখনও মেনে নেওয়া যায় না। হতে পারে, অযোগ্যদেরও নিয়োগ করা হয়েছে। তাই সত্য উদ্ঘাটনের স্বার্থে প্রাক্তন বিচারপতি জয়ন্তকুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হল। প্রার্থীদের নম্বর প্রদান, নিয়োগের সুপারিশ দেওয়া থেকে নিয়োগ সম্পর্কে কমিটি বিস্তারিত তদন্ত করবে। যে কমিটিতে উপর্যুক্ত সরকারি সচিবও থাকবেন। সেইসঙ্গে থাকবেন আইনজীবী অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। চার সপ্তাহে তদন্ত শেষ না করা গেলে অতিরিক্ত সময় চাওয়া যাবে। ১০ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।