গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গোটা দেশে এখন মোট ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক রয়েছে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৩ হাজার ৬৬৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২০১৪ সালের পর থেকে মোদি জমানায় বাংলায় জাতীয় সড়কের দৈর্ঘ্য বেড়েছে ৭৫৪ কিলোমিটার। অথচ গুজরাতে গত সাত বছরে জাতীয় সড়কের দৈর্ঘ্য বেড়েছে ১ হাজার ৬৬৪ কিলোমিটার। সড়কের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে কৃপণতা তো রয়েইছে, তারই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বরাদ্দের বঞ্চনা।
সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়কের কাজে ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষের রিভাইজড অ্যালোকেশন বা সংশোধিত বরাদ্দে বাংলার জন্য বেড়েছে মাত্র ৫০ কোটি টাকা। ছিল ১০০ কোটি। হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। অথচ গুজরাতে ১০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। মধ্যপ্রদেশে ২০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। হিমাচল প্রদেশে ৯৫ থেকে হয়েছে ১২০ কোটি টাকা। অবশ্য ওই রাজ্যে জাতীয় সড়কের দৈর্ঘ্য মাত্র ২ হাজার ৬০৭ কিলোমিটার। চলতি বছরে গুজরাত এবং হিমাচলে ভোট। আগামী বছর মধ্যপ্রদেশ। তবে কি ভোটকে মাথায় রেখেই জাতীয় সড়কের উন্নয়নে বাড়তি বরাদ্দ করল মোদি সরকার? উঠছে প্রশ্ন।
একইভাবে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে প্রোজেক্ট ইমপ্লিমেন্টশন ইউনিটের বরাদ্দ ৭৭ কোটি থেকে এক লাফে বাড়িয়ে সংশোধিত বরাদ্দ হয়েছে ১৩৫ কোটি টাকা। পাশাপাশি, বিজেপি শাসিত রাজ্য না হলেও ওড়িশার বরাদ্দ ১৬০ থেকে করা হয়েছে ৩১০ কোটি টাকা। আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা হয়েছে ২১ জুন। আর ঘোষণা মাত্রই তাঁকেই ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন বিজেডি সুপ্রিমো ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। আর ওই সমর্থনের চারদিন পরেই ওড়িশায় জাতীয় সড়কের সংশোধিত বরাদ্দের ফাইলে সই করল মোদি সরকার। এক লাফে বরাদ্দ বেড়ে হল প্রায় দ্বিগুণ। মন্ত্রক যদিও এর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক দেখছে না।