বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দিন কয়েক আগেও ১০ বা ১১ টাকা জোড়ায় বিক্রি হতো ডিম। কেন তা ১৪ টাকায় পৌঁছল? ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদন খরচ অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে একইসঙ্গে চড়ছে মাংস ও ডিমের দর। ভুট্টা দানা থেকে শুরু করে অন্যান্য খাবারের দাম লাগামছাড়া। সরাসরি চীন থেকে ওষুধ আসছে না। সেই ওষুধ ঘুরপথে অন্য দেশ থেকে চড়া দামে আনতে হচ্ছে। এমনই অভিযোগ এদেশের পোলট্রি ফার্ম মালিকদের। এই পরিস্থিতিতে সস্তায় ডিম বিক্রি করা কঠিন। তাঁদের অভিযোগ, পশুখাদ্য রপ্তানিতে কেন্দ্র পুরোপুরি রাশ টানছে না। বৈদেশিক মুদ্রা বাড়াতে গিয়ে সঙ্কটে ফেলা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ ব্যবসাকেই। লক্ষ লক্ষ মানুষের রুটিরুজিতে ধাক্কার ক্ষেত্রেও সরকার নির্বিকার কেন?
ন্যাশনাল এগ কো-অর্ডিনেশন কমিটির রাজ্য শাখার চেয়ারম্যান মদনমোহন মাইতি বলেন, মুরগির খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার সমস্যা বহু পুরনো। তবে, এবার ফার্মগুলির দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আমরা সংগঠনের তরফে কেন্দ্রকে দু’বছর ধরে চিঠি লিখছি। কিন্তু সুরাহা মেলেনি। পশুখাদ্যের দাম না কমলে সমস্যা বাড়তেই থাকবে। একটাই আশার কথা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশ থেকে ফের পাম তেল আমদানি শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হলে পশুখাদ্যের দাম কমতে পারে। তখন হয়তো ডিমের দামেও লাগাম দেওয়া যাবে। মদনমোহনবাবুর ব্যাখ্যা, এখানে পাম তেল আমদানিতে টান পড়ায় বাদাম বা অন্যান্য তৈলবীজের চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল। ফলে বেড়েছিল খইলেরও দাম। খইল পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাম তেলের আমদানি স্বাভাবিক হলে খইলের সঙ্কটও কাটতে পারে। আশা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।