রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে রবিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতির সাফাই, ‘আমার স্ত্রীর বদলি মিউচুয়াল ট্রান্সফারের মাধ্যমে হয়েছিল। কোনও সুপারিশের মাধ্যমে এই আপস বদলি হয় না।’ পাশাপাশি এই খবর প্রকাশিত হলে তিনি মামলার হুমকিও দেন। অবশ্য সুকান্তর দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন পার্থবাবু বলেন, ‘আমার কাছে সেই সময় ওঁর স্ত্রীর বদলি নিয়ে আবেদন এসেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজনীতির রং দেখে না। তাই ওঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে শিক্ষাদপ্তর কোয়েল চৌধুরীকে মালদহ থেকে বালুরঘাটের স্কুলে বদলিতে সিলমোহর দিয়েছিল।’ রাজ্যের বর্তমান শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষাদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া জেনারেল কিংবা মিউচুয়াল ট্রান্সফার সম্ভব নয়। অর্থাৎ সুপারিশ ছাড়া সুকান্ত-ঘরণীর ‘দুয়ারে স্কুল’-এ বদলি যে অসম্ভব ছিল, তা পার্থবাবুর কথায় স্পষ্ট।
পার্টির কোন মহল থেকে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এই আবেদন গিয়েছিল? এই প্রশ্নে তৎকালীন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমি কোনও সুপারিশ করিনি। তবে সেই সময় পার্টির অন্দরে সুকান্তবাবুর স্ত্রীর বদলি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেটা আমার কানে এসেছিল। পার্টির অন্য কেউ বলে থাকতে পারেন।’ রাজ্য সভাপতির সঙ্গে শাসকদলের এহেন ঘনিষ্ঠ রসায়ন ঘিরে গেরুয়া শিবিরে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। স্ত্রীর বদলির জন্য নবান্নের ‘অনুগ্রহ’ নেওয়া বিজেপি শীর্ষনেতা কি তৃণমূল বিরোধিতার ক্ষেত্রে আদৌ গ্রহণযোগ্য? তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে ঘরে-বাইরে।