কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কেনা ধান থেকে উৎপাদিত চাল রেশনে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকার গমের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করায় চালের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের প্রায় সওয়া তিন কোটি রেশন গ্রাহককে আগামী কয়েক মাস গমের বদলে শুধু চাল দেওয়া হবে। আবার জাতীয় প্রকল্পের গ্রাহকদের গমের বরাদ্দ কমিয়ে চালের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫১ লক্ষ টন ধান কেনা হয়েছে। তা থেকে চাল মিলবে প্রায় ৩৪ লক্ষ টন। বাড়তি চাহিদা মেটাতে আরও চাল প্রয়োজন। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই খোলাবাজার থেকে চাল কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কয়েকটি ছাড়া সব জেলায় টেন্ডার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। রাইস মিল মালিকদের সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে সরকারের যে ধান রয়েছে, তা থেকে উৎপাদিত চাল আগস্ট মাসের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে। রেশনে বাড়তি চাল দিতে সরকারের কোনও সমস্যা হবে না।
রাজ্য সরকার খোলা বাজার থেকে ধান কেনা শুরু করায় বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। কয়েক মাস আগে যেখানে প্রতি কুইন্টাল মোটা ধান খোলা বাজারে ১,৫০০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছিল, তা এখন বেড়ে ১,৭০০ টাকা ছাড়িয়েছে। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। সরকারের কাছে ধান বিক্রি করলে অবশ্য এর থেকে বেশি দাম ১,৯৪০ টাকা মিলবে। এই কারণে আগামী কয়েক মাস সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে চাষিদের উৎসাহ থাকবে বলে আশা করছে খাদ্যদপ্তর।