গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এই হতশ্রী দশায় ব্লক কমিটি এবং অঞ্চল কিংবা ওয়ার্ড কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত রীতিমতো আত্মঘাতী বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, ব্লক, ওয়ার্ড এবং অঞ্চল মিলিয়ে ছ’হাজারের বেশি কমিটি তৈরি করতে হবে। সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কমিটিগুলি ৮ থেকে ১০ জন সদস্যের হবে। যেখানে একজন কনভেনার এবং একাধিক কো-কনভেনার থাকবেন। সেই হিসেবে প্রায় ৬০ হাজার বিজেপির সক্রিয় কর্মীকে নিয়ে ওই কমিটি ভরতে হবে। এ প্রসঙ্গে দলের রাজ্য কমিটির এক নেতা বলেন, গোটটাই অলীক কল্পনার। কিন্তু কেন হঠাৎ এই বাড়তি ‘হোম টাক্স’ নিলেন বঙ্গ নেতৃত্ব? জবাবে ওই নেতা বলেন, গোটাটাই ‘আই ওয়াশ’। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ক্ষমতাশীল গোষ্ঠীর সদস্যদের পদ বাঁচাতে এই প্রয়াস। পাশাপাশি বিধানসভা ভোটের পর থেকে পার্টির অন্দরে বিদ্রোহ চরমে পৌঁছেছে। বিক্ষুব্ধ হাজার হাজার পার্টি কর্মী ও সমর্থক বসে গিয়েছেন। জোড়া এই কমিটি গড়ে বিদ্রোহীদের পদ পাইয়ে দিতেই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন এই বিজেপি নেতা। তাঁর কথায়, বুথ সশক্তিকরণ অভিযানে বিজেপি জনপ্রতিনিধি থাকা এলাকাতেই কর্মীদের নামাতে কালঘাম ছুটছে। এমপি-এমএলএ’রাই সাংগঠনিক কাজ থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন। সেখানে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ব্লক কিংবা অঞ্চল কমিটিতে লোক জোটানোই দুষ্কর। পাশাপাশি বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক আবহে পদ্ম পার্টির কর্মসূচিতেই লোক হচ্ছে না। সেখানে নিচুতলায় এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত দলের দৈন্যদশাকে আরও প্রকট করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।