পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সেন্ট্রাল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড থেকে হেলিকপ্টার নির্মাতা পবন হংস, দুটি সংস্থারই বিক্রি আটকে গিয়েছে আইনি জটিলতায়। ঠিক যে সংস্থাগুলির কাছে ওই দুই সরকারি সংস্থাকে বিক্রি করার চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ এইসব বিষয়ে কোনও খোঁজখবরই করেনি অর্থমন্ত্রক। মুখরক্ষার জন্য মঙ্গলবার সরকার নতুন ঘোষণা করেছে। এবার থেকে কোনও সরকারি সংস্থা কিনতে হলে দরপত্র দেওয়ার আগে ঘোষণাপত্র দিয়ে জানাতে হবে, আইনি জটিলতা চলছে কি না। এই সমস্যার মধ্যেই মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি হিন্দুস্তান জিঙ্কের সব শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই শেয়ার বিক্রি হলে কেন্দ্র একধাক্কায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা হাতে পাবে। অর্থের সংস্থানে মরিয়া কেন্দ্র তাই হিন্দুস্তান জিঙ্কের মালিকানা থেকে সরে আসছে।
মোদি সরকার বিলগ্নিকরণ নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রচুর গালভরা ঘোষণা করেছে। ৩৬টি সংস্থাকে ২০১৬ সালের পর থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে এই লক্ষ্যে। গত আর্থিক বছরে (২০২১-২২) লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু আয় হয়েছে মাত্র ১২ হাজার কোটি টাকা। এলআইসি বিক্রি করে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা আয় হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কার্যক্ষেত্রে এলআইসি থেকে সরকারের আয় হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। এলআইসিকে মুখ থুবড়ে পড়তে দেখে আগামী দিনে সরকারি সংস্থাকে শেয়ার বাজারে নিয়ে আসা বড় সমস্যা হবে বলাই বাহুল্য। সরকারের সবথেকে বড় যে সম্মানহানি ঘটেছে সেটি হল, সেন্ট্রাল ইলেকট্রনিক্স এবং পবন হংস বিক্রি করার মুহূর্তে জানা গিয়েছে, যাদের কাছে ওই দুই সংস্থা বিক্রি করা হচ্ছিল, তাদের বিরুদ্ধেই আইনি নোটিস ঝুলছে। মুখ বাঁচাতে তাই ওই বিক্রি পর্ব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারত পেট্রলিয়ামকে বিক্রি করা হবে বলে কেন্দ্র স্থির করেছে। কিন্তু এক এক করে সম্ভাব্য ক্রেতারা নাম তুলে নিয়েছে। সাকুল্যে একটি সংস্থাই টিকে আছে, যা কেন্দ্রের কাছে অস্বস্তিকর। সব মিলিয়ে বিলগ্নিকরণে চরম ব্যর্থতাই প্রকট হচ্ছে।