কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কেন্দ্রের বঞ্চনার উদাহরণ টেনে, দলের কর্মীদের আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছতে নির্দেশ দেন নেত্রী। ঘোষণা করেন তৃণমূলের আগামী দিনের স্লোগান, ‘আমি নয়, আমরা’। আর তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই কঠোর শোনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলা। কোনও রাখঢাক না করে তিনি বলেন, ‘মাথায় রাখতে হবে যে কেউ কেউকেটা হয়ে যায়নি। একটা জেলা পরিষদের মেম্বার হয়ে গেলেই সবাইকে বাদ দিয়ে নিজের মতো করে কাজ করে নিলাম, এই সব বরদাস্ত করা হবে না। এই অভিযোগ সত্যি হলে ঘ্যাচাং ফু হবে। এক সেকেন্ডে কেটে দেব।’ দলে থাকতে হলে কীভাবে চলতে হবে, তার দিকনির্দেশও করেছেন নেত্রী। সোজাভাবে জানিয়েছেন, ‘সবাইকে নিয়ে চললে তবেই সেটা সবার দল হয়। আজকে যাঁরা এসেছেন বা যাঁরা আসেননি, সকলকেই সম্মান দিয়ে কাজ করতে হবে। সকলের সঙ্গে কথা বলতে হবে, এক জায়গায় বসতে হবে। তাদের দুর্দিনে পাশে থাকতে হবে। এটাই হবে সকলের নীতি। একটা এমএলএ মানে এলাকার সমস্ত মানুষ ও কর্মীদের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলা।’
দলনেত্রীর আরও নির্দেশ, সাইকেল নিয়ে এলাকায় এলাকায় ঘুরে মানুষের কোনও সমস্যার কথা জানার চেষ্টা করতে হবে নেতা-কর্মীদের। যদি কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দুয়ারে সরকার শিবিরে নিয়ে যাবেন। কাজ হয়ে গেলে যদি কেউ মিষ্টি খেতে ১০০ টাকা দেয়, তাহলে সেটা না নিয়ে ওই টাকায় তাঁকেই একদিনের বাজার করে নিতে বলবেন। এগুলি মেনে চললে তবেই তৃণমূল কংগ্রেস করা যাবে বলেও এদিন জানান মমতা। আগামী ৯ আগস্ট ফের মেদিনীপুরে এসে তিনি এসব কাজের রিপোর্ট নেবেন। এদিনের দলীয় সম্মেলনে হাজির ছিলেন সুব্রত বক্সি, অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, হুমায়ূন কবীর, মানস ভুঁইয়া, দেব, জুন মালিয়া ও অজিত মাইতি সহ একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ, নেতা।
অন্যদিকে, এদিন ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই জেলা পরিষদের কাজ নিয়ে অভিযোগ তোলেন ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মামণি মুর্মু। তিনি বলেন, একটি কাজের টেন্ডার সাত-আটবার করে ডাকা হয়। আর তার জন্য দায়ী অন্য দুই কর্মাধ্যক্ষ উজ্জ্বল দত্ত ও শুভ্রা মাহাত। মুখ্যমন্ত্রী এব্যাপারে জেলাশাসককে প্রশ্ন করলে তিনি অবশ্য অভিযোগটি ভিত্তিহিন বলে উড়িয়ে দেন। তবে এপ্রসঙ্গে ক্ষোভ চেপে রাখেননি মমতা। সাফ জানিয়েছেন, ‘চাহিদা অনুযায়ী রাজ্য সরকার সমস্ত কাজ করে দিয়েছে। মানুষের মধ্যে কোনও ক্ষোভ নেই। কিন্তু তোমাদের কেউ কেউ একে অপরের বিরুদ্ধে বলে বেড়ায় আর তাতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।’