কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
১৯৮৬ সালের ২২ এপ্রিল খড়্গপুরে অনিরুদ্ধবাবুর দোকানে হানা দেয় সরকারি কর্মীদের একটি দল। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন মতো মজুত কেরোসিনের পরিমাণ যাচাই করা হয়। অভিযান শেষে বলা হয়, দোকানে মজুত থাকার কথা ছিল ৩ হাজার ৫৭০ লিটার। কিন্তু সেখানে পাওয়া গিয়েছে ৩ হাজার ২৫ লিটার কেরোসিন। এই ৫৪৫ লিটার ঘাটতিকে সামনে রেখে খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ১৯৮৮ সালের ৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের বিশেষ আদালত (ইসি) অভিযুক্তকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করে। যা চ্যালেঞ্জ করা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলারই শুনানিতে কেউ হাজির হয়নি উচ্চ আদালতে। গত শুক্রবার আইনজীবী পূজা গোস্বামীকে আদালত বান্ধব নিযুক্ত করেন বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য। ওই আইনজীবী জানান, সরকারি ভাষ্য বিশ্বাসযোগ্য নয়। প্রথমত, দুই নিরপেক্ষ সাক্ষী সরকারি বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। এমনকী, ওই দোকান থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে অনিরুদ্ধবাবুর আরেকটি গোডাউন আছে বলে জানানো সত্ত্বেও সেখানে অভিযান হয়নি। দ্বিতীয়ত, যে ১৫ ব্যারেল তেল মাপা হয়, তার প্রতিটির মাপ কেমন ছিল, তা বলা নেই। তাছাড়া ওই নিরপেক্ষ সাক্ষীদের সামনেও তেল মাপা হয়নি। তৃতীয়ত, কোনও কেরোসিন ডিলার বা এজেন্ট দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হলে তার লাইসেন্স সাসপেন্ড হওয়ার কথা।
এখানে আশ্চর্যজনকভাবে তা করা হয়নি। চতুর্থত, অভিযুক্ত দাবি করেছিলেন, মজুতের পরিমাণে কোনও ঘাটতি নেই। কিন্তু তা তাঁকে প্রমাণ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এই সওয়ালের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করেন বিচারপতি। সেই রায়ে সাজামুক্ত হন অনিরুদ্ধ প্রসাদ সিং।