বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ধৃত উপপ্রধান শেখ হেকমত আলির মেয়ে জিন্নাতুন্নেসা পারভিনের সঙ্গে বীরভূম জেলার কীর্ণাহার থানার সরডাঙা গ্রামের বাসিন্দা বদরুদ্দোজার ছেলে মহম্মদ গোলাম জামিলের বিয়ে হয়। ২০১৯ সালে হেকমত আলি তাঁর জামাইকে প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে দফায় দফায় ৮ লক্ষ টাকা নেন বলে অভিযোগ। এছাড়া মেয়ের শ্বশুড়বাড়ির আত্মীয়দেরও একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১১জনের কাছ থেকে মোট ৮২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এমনকী তাঁদের ভুয়ো নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়। পরে চাকরিপ্রার্থীরা জানতে পারেন সেগুলি জাল। এরপর ধৃতের বেয়াই বদরুদ্দোজা মঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। তিনি অভিযোগে জানিয়েছেন, ফোনে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা চাইতেন তিনি। মাথা পিছু ৮ লক্ষ টাকা করে আদায় করা হয়েছিল। বিষয়টি ভুয়ো বুঝতে পেরে টাকা ফেরত চাইলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ভয় দেখাতেন। বদরুদ্দোজা বলেন, আমার শালা সহ আমাদের আত্মীয়দেরও প্রাথমিক শিক্ষকপদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যদিও উপপ্রধানের মেয়ে জিন্নাতুন্নেসা পারভিন বলেন, আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিথ্যাভাবে আমার বাবাকে ফাঁসিয়েছে।
তৃণমূলের উপপ্রধান গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এনিয়ে শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে বিরোধীরা। বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই ঘটনায় আরও অনেক রাঘব বোয়াল জড়িত আছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট। মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন, আমরা ওই উপপ্রধানের নামে অভিযোগ পাওয়ার পরই তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি। তাছাড়া ওঁকে পঞ্চায়েতে যেতে নিষেধও করেছি। আইন আইনের পথেই চলবে।