বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থাগুলির সর্বভারতীয় সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মিউচুয়াল ফান্ডস ইন ইন্ডিয়ার (অ্যামফি) তথ্য বলছে, এদেশে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মিউচুয়াল ফান্ডে মোট ৩৮.০৩ লক্ষ কোটি টাকা খেটেছে। ওই মাসে লগ্নিকৃত ফান্ডের গড় অঙ্ক ৩৮.৮৮ লক্ষ কোটি টাকা, যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ইতিমধ্যে ইক্যুইটি ফান্ডেও বিনিয়োগ বেড়েছে। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত খুচরো ইক্যুইটিতে মোট লগ্নি ছিল ১৮.৮৮ লক্ষ কোটি টাকা। মাস শেষে মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নিকারীর সংখ্যা ছিল ১৩.১৩ কোটি। ২০২১-এর এপ্রিলের নিরিখে গ্রাহক বেড়েছে ৩৩ শতাংশ। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের আমানত এবং সরকারি সঞ্চয়ে সুদের হার কমে যাওয়ায় বহু মানুষ সিপের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। এপ্রিলে সিপে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ১১,৮৬৩ কোটি টাকা। তবে সিপে লগ্নির অঙ্ক পূর্ববর্তী মাসের থেকে কমেছে। মার্চে ছিল ১২,৩২৮ কোটি টাকা। বিনিয়োগ কমলেও, সিপের গ্রাহক বেড়েছে। এপ্রিল শেষে ছিল ৫.৩৯ কোটি। মার্চের তুলনায় বেড়েছে ১১.২৯ লক্ষ।
অস্থির বাজারেও মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নির বহর বৃদ্ধি স্বাভাবিক, মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। শিল্প সংগঠন ফসমি-র ডিরেক্টর কৌশিক ঘোষ বলেন, এখন পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার ১৫.০৮ শতাংশ। ১৯৯১ সালের পর সর্বাধিক। খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিও লাগামছাড়া। এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্কগুলির ফিক্সড ডিপোজিটের হার গড়পড়তা ৬.৫ শতাংশ। অর্থাৎ আগে যে জিনিস ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, এখন কিনতে প্রায় ১১৫ টাকা লাগে। কিন্তু ১০০ টাকায় সুদ মেলে ৬.৫০ টাকা। অর্থাৎ খরচ ও সুদের মধ্যে সঙ্গতি নেই। পোস্ট অফিসের সুদ থেকে প্রবীণ নাগরিকরা কিছুটা লাভবান হন। কারণ, তাঁদের ক্ষেত্রে সুদের হার ৭.৪ শতাংশ। বিমায় বিনিয়োগ করলে দীর্ঘমেয়াদে ফেরত পাওয়া যায়। এই পরিস্থিতিতে সঞ্চয়ের বিকল্প সুযোগ পড়ে থাকে শেয়ার বাজার। শেয়ারে লগ্নিতে অনাগ্রহীদের নির্ভরতা মিউচুয়াল ফান্ডে। এক্ষেত্রে বাজারে বিনিয়োগের ঝুঁকি হ্রাসের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে সঞ্চয়ের সমস্যাও থাকে না। মিউচুয়াল ফান্ড তিনবছরে ১৬-১৭ শতাংশ রিটার্ন দিলে জনপ্রিয়তা বাড়বেই। এক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে।