বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তিনটি বাস ও মিনিবাস অপারেটর সংগঠনের বক্তব্য ছিল, এই ব্যবসা বিপুল ক্ষতির মুখে। ফলে বাস ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অজস্র পরিবারও ক্ষতির সম্মুখীন। তাঁদের মতে, জ্বালানির দামের সঙ্গে যাত্রী ভাড়ার তালিকায় ভারসাম্য থাকা উচিত, যা এখন নেই। জ্বালানির ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে এর বর্ধিত মূল্যের দায়ভার হয় যাত্রীদের বইতে হবে। না-হলে তা সরকারকে বহন করতে হবে। কিন্তু, ২০১৮-র পর যাত্রী ভাড়ার তালিকা সংশোধিত হয়নি। ১৯৮৮-র মোটর ভেহিকলস আইন মাফিক যাত্রী ভাড়া নির্ধারণে তাঁদের বক্তব্যকেও গুরুত্ব দিতে বলা হোক।
জবাবে সরকার জানায়, জ্বালানির দাম বাড়লেই যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির দাবি অবাস্তব। তাহলে গাড়ি মালিকদের ইচ্ছামতো, সারা রাজ্যের যাবতীয় যাত্রী ভাড়া প্রতিনিয়ত পুনর্বিবেচনা করে যেতে হবে। যদিও রাজস্ব বা শুল্কের সঙ্গে রাজ্যের নীতির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কোনও সাংবিধানিক ভুল না থাকলে তেমন নীতিগত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। যে আইনের কথা বলা হচ্ছে, তা আদতে একটি নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা, যার সঙ্গে প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করা না-করার প্রশ্ন যুক্ত।
এই প্রেক্ষাপটে রায়ে বলা হয়েছ, এই বিতর্কের সঙ্গে বিপুল সংখ্যক যাত্রী ছাড়াও পণ্য পরিবহণ ভাড়ার অঙ্গাঙ্গি সম্পর্ক আছে। সেখানে আপন অভিমত দেওয়ার সুযোগ চান মামলাকারীরা। কিন্তু, গণপরিবহণ ব্যবস্থায় শুল্ক আরোপের ক্ষমতা প্রশাসনের, যার সঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রের প্রশাসনিক নীতির সম্পর্ক গভীর। সাংবিধানিক ত্রুটি না থাকলে সেখানে আদালতের হস্তক্ষেপ বাঞ্ছনীয় নয়। এমনকী ওই আইন অনুসরণে রাজ্যের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষমতায় হাত দেওয়ারও সুযোগ নেই।