পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
গ্রুপ-ডি এবং গ্রুপ-সি’র নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। তাতে দায়ের হওয়া মামলায় এর আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। পাশাপাশি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ বাকি সদস্যদের সিবিআই দপ্তরে হাজিরার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সকলেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্ত সহ গোটা প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে। সেইসঙ্গে বাগ কমিটিকে গ্রুপ-সি নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট চার সপ্তাহের মধ্যে পেশ করতে বলে। শুক্রবার ছিল মামলার শুনানি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর যে ৩৮১ জনকে ভুয়ো নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ২২২ জন লিখিত পরীক্ষায় বসেননি এবং কোনও পার্সোনালিটি টেস্টেও অংশ নেননি। এসএসসি অফিস থেকে সই স্ক্যান করে তাঁদের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, সই স্ক্যান করা সেই ভুয়ো সুপারিশপত্র মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা পাঠাতেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। সেই সুপারিশপত্রের ভিত্তিতে নিয়োগপত্র তৈরি করতেন পর্ষদের টেকনিক্যাল অফিসার রাজেশ লায়েক। শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার, কমিশনের সচিব অশোককুমার সাহা সহ উপদেষ্টা কমিটির প্রতিটি সদস্য এই অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত বলেও বাগ কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধিতে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশও রয়েছে। এছাড়াও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদনের ভিত্তিতে গঠিত ওই উপদেষ্টা কমিটিকেও বেআইনি বলে জানিয়েছে কমিটি। যদিও মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু এক্ষেত্রে রাজ্য পুলিস বিভাগীয় বা ফৌজদারি তদন্ত করতে সক্ষম।’ মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর পাল্টা দাবি, ‘রিপোর্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। ফলে সিবিআই বা অন্য কোনও নিরপেক্ষ সংস্থার তদন্তই এক্ষেত্রে বাঞ্ছনীয়।’ উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ১৮ তারিখ মামলার রায়দান।