বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যে মোট ১০ হাজার বাংলা সহায়তা কেন্দ্র গড়ে তোলার পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রয়োজনে রাজ্যের উদ্যোগে পাড়ায় পাড়ায় গড়ে তোলা হবে এই কেন্দ্র। এখন রাজ্যে ২৫৬১টি বিএসকে রয়েছে। কর্মরত রয়েছেন ৭১২২ জন অপারেটর। প্রতি কেন্দ্রে দুই থেকে তিনজন করে অপারেটর নিযুক্ত করা হয়েছে। রাজ্যের নিযুক্ত এই অপারেটররাই উপভোক্তাদের অনলাইনের মাধ্যমে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, কৃষকবন্ধু, খাদ্যসাথী, জমির মিউটেশন, ইত্যাদি পরিষেবা পাওয়ার জন্য বিনামূল্যে পরিষেবা দেন বাংলা সহায়ক কেন্দ্রগুলিতে। আর এই পরিষেবার সংখ্যায় রবিবার অতিক্রম করল পাঁচ কোটির গণ্ডি। এদিন বিকেল পর্যন্ত মোট ৫ কোটি ২৭ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯৮৪টি পরিষেবা দেওয়া হয়েছে বিএসকেগুলির মাধ্যমে। একজন ব্যক্তি একাধিক পরিষেবা পেয়েছেন। সেই নিরিখে উপকৃত হয়েছেন রাজ্যের ৩ কোটি ৭২ লক্ষ ৯২০১ জন মানুষ। মোট আবেদনের ৯৮.০৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে। রাজ্যের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, এই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে রোজ গড়ে প্রায় পাঁচ লক্ষ পরিষেবা দেওয়া হয়। এই সংখ্যা আরও বাড়ানোর পদক্ষেপ করা হয়েছে।
প্রথমত, মুখ্যমন্ত্রী এই কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০ হাজার করতে বলেছেন। পাশাপাশি কম লোক আসত এমন ২৯০টি বিএসকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে জনবহুল এলাকায়। মুলত এসডিও এবং বিডিও অফিসে এই কেন্দ্রগুলিকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
সবথেকে বেশি পরিষেবা পেয়েছে পূর্ব বর্ধমান—সংখ্যাটি ৬০ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭৪৭। তারপরেই পূর্ব মেদিনীপুর—৫৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৩২টি বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। মোট পরিষেবার মধ্যে ৯২.৩ শতাংশ দেওয়া হয়েছে গ্রামীণ এলাকায়। উপকৃতদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ মহিলা। ৩৬ শতাংশ ও ৬.৯৮ শতাংশ তফসিলি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ এসেছেন এই কেন্দ্রগুলিতে। করোনাকালে বিএসকে থাকার জন্য মানুষ সমস্ত সরকারি পরিষেবার আবেদন খুব সহজেই করতে পেরেছেন।
২০২১ সালের ১২ অক্টোবর নির্দেশিকা জারি করে বিভিন্ন জেলায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়। পরে পুর এলাকাতেও বিএসকে খোলা হয়। ইতিমধ্যে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র রাজ্যের সবথেকে জনপ্রিয় সিঙ্গল উইন্ডো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উঠে এসেছে। বাড়ানো হয়েছে অপারেটরদের বেতনও—প্রতিমাসে পাচ্ছেন ১৩,৫০০ টাকা।