গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ওই বৈঠকের পর শোভনদেববাবু সাংবাদিকদের জানান, সারের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে খবর আসছিল। তাই আমরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি, দাম কোনওভাবেই বাড়ানো যাবে না। এছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে চালের দাম বাড়ানোর খবরও আসছে। তাও কোনওভাবে মেনে নেওয়া হবে না। অকালবৃষ্টিতে গোবিন্দভোগ চাল উৎপাদনে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমাঞ্চলে ভালো পরিমাণ চাল উৎপাদিত হয়েছে। তাই চালের দাম বাড়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নোনাস্বর্ণ ধান বিক্রি বাড়াতে উদ্যোগী হল কৃষিদপ্তর। সুফল বাংলা স্টলের মাধ্যমে বিভিন্ন মেলায় এবং বিশ্ববাংলা স্টলে তা বিক্রি করা হচ্ছে। গঙ্গাসাগর মেলা ও সরস মেলায় তা খুব ভালো বিক্রি হয়েছে বলে কৃষিমন্ত্রী জানান। যশ ঘূর্ণিঝড়ে যে সমস্ত কৃষিজমি নোনা জল ঢুকে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে এই নোনা স্বর্ণ ধান চাষ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর জন্য বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল বিশেষভাবে। চুঁচুড়ার ধান্য গবেষণা কেন্দ্রে সিএসআর ৪৩, ৪৪, দুধের সর সহ চার-পাঁচ রকমের চাল উৎপাদিত হয়। দুধের সর চালের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সেটি বাজারে ৫০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। বাকি প্রজাতির চালগুলি ৪০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দুধের সর চাল আমি নিজেও খেয়েছি। এটি খুবই ভালো। তবে শীতকালে বৃষ্টি নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ক’দিন আগে বৃষ্টিতে চাষের ক্ষতি হয়েছে। ফের ২২ থেকে ২৪ জানুয়ারি বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এই সময় বৃষ্টি হলে চাষের খুব ক্ষতি হয়। তাই কৃষকদের সতর্ক করা হয়েছে।