কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সোনার আমদানিতে রাশ টানতে শুল্ক বাড়ানোর পথে হাঁটতে শুরু করেছিল ইউপিএ সরকার। কেন্দ্রের সেই পদক্ষেপে বিরোধী দল হিসেবে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর আমদানি শুল্ককে ধাপে ধাপে বাড়িয়ে তারাই ১২.৫ শতাংশে নিয়ে যায়। তাতে বেজায় ক্ষুদ্ধ হয় স্বর্ণ শিল্পমহল। মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে কালোবাজারিও। চাপে পড়ে আমদানি শুল্ক ১২.৫ থেকে ৭.৫ শতাংশে নামিয়ে আনে কেন্দ্র। কিন্তু তার সঙ্গে জুড়ে দেয় ২.৫ শতাংশ সেস। এবার ফের আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি তুলল দেশের অন্যতম সংগঠন জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল। তাদের দাবি, শুল্ক কমিয়ে আনা হোক চার শতাংশে। পাশাপাশি তারা দাবি করেছে, কাটিং ও পালিশ করা হীরের উপর শুল্কও ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা হোক ২.৫ শতাংশে। একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক অন্যান্য গ্রহরত্নের ক্ষেত্রেও, এমনটাই দাবি তাদের। এর পিছনে যুক্তি, বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে সোনা ও হীরের গয়না রপ্তানি। এই আর্থিক বছরে তা ৪ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে। দেশ স্বাধীন হওয়ার ১০০ বছর পূর্তিতে তা ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এই টার্গেট পূর্ণ করতে সরকারের কিছু পদক্ষেপ করা জরুরি বলে মনে করছে স্বর্ণশিল্প মহল। তারই অন্যতম পদক্ষেপ হতে পারে আমদানি শুল্ক কমানো।
সোনার ছোট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১২.৫ শতাংশ থেকে আমদানি শুল্ক ৭.৫ শতাংশে নেমেছে ঠিকই। কিন্তু তাও যথেষ্ট বেশি। এদিকে শুল্ক বাঁচাতে বাজারে কালোবাজারির রমরমা বাড়ছে। চোরাপথে সোনা ঢুকছে বাজারে। তাতে আঞ্চলিক বাজারগুলিতেই সোনার দামের হেরফের হচ্ছে। অসম প্রতিযোগিতায় পড়তে হচ্ছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। এই পরিস্থিতি কাটাতে শুল্কে ছাড় দেওয়া জরুরি মনে করছে স্বর্ণশিল্প মহল।