পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হতে পারে রবিবার, নেতাজি জয়ন্তীতে। অসময়ের এই বৃষ্টিতে চাষের ক্ষতির আশঙ্কা থাকায় সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। একপ্রস্থ বৃষ্টির পর শীতের যে আমেজ ফিরে এসেছিল, তা ফের চুরি যাবে ঝঞ্ঝার পাল্লায় পড়ে। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ফের বৃদ্ধি পাবে। তা বেড়ে ১৬-১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও পৌঁছতে পারে। ঝঞ্ঝার প্রভাব কেটে গেলে আবার শীত ফিরবে, এমনটাই আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
গত সপ্তাহে টানা চারদিন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছিল। এবারও একই ধরনের প্রভাব ফড়বে ঝঞ্ঝার। গত কয়েকদিনে আরও দু’টি ঝঞ্ঝা পশ্চিম হিমালয়ে এলেও সেগুলি খুব একটা শক্তিশালী না হওয়ায় এ রাজ্যে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। কাল, শুক্রবার অবশ্য একটি শক্তিশালী ঝঞ্ঝা আসতে চলেছে পশ্চিম হিমালয়ে। তার প্রভাবে রাজস্থানের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। সেই ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ অক্ষরেখা পূর্ব ভারতের দিকে চলে আসবে বলে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে বেশি পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকে বজ্রগর্ভ মেঘের সৃষ্টি করবে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাজ্যের উপকূলবর্তী দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতাতেও ঝিরঝিরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে কাল না হলেও শনিবার হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে রবিবার তুলনায় বেশি বৃষ্টি হবে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে ওইদিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সোমবার ঝঞ্ঝার প্রভাব থাকতে পারে। এই দু’দিন দক্ষিণবঙ্গে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গে শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত হাল্কা থেকে মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের ওই অংশে হতে পারে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত। পাহাড়ি এলাকায় ধসের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। এখন রবি মরশুমে বিভিন্ন ফসল, আলু সহ শীতের সব্জির চাষ চলছে। বোরো ধানের চাষও শুরু হয়েছে। বৃষ্টির মাত্রা বেশি হলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। গত সপ্তাহে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টি হয়েছিল। যার জেরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চাষে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এবার পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, তা বৃষ্টির মাত্রার উপর নির্ভর করছে। আবহাওয়া দপ্তর জমি থেকে জল বের করার পাশাপাশি বেশ কিছু কৃষি সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়েছে। গত রবিবার থেকে শীতের আমেজ ফিরে এসেছিল দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির আশপাশে চলে এসেছে। কয়েকটি জেলায় তা নেমে গিয়েছে ১০ ডিগ্রিতে। বুধবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম।