পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বাংলা এবং ইংরেজি, এই দু’টি বিষয় দিয়ে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। ৪৫টি বিষয়ে প্রায় ৩৩ হাজার আবেদনকারী রয়েছেন। ফলে, ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হতে বছর গড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, কোভিডবিধি মেনে এই ইন্টারভিউ চালানোর জন্য সময় একটু বেশি লাগারই কথা, বলছেন কমিশনের আধিকারিকরা। সাধারণত, শূন্যপদ আগেভাগে ঘোষণা করে না কমিশন। তবে, ২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তিতে যে ইন্টারভিউ হয়েছিল, তাতে সবমিলিয়ে দেড় হাজারের কাছাকাছি আসন পূরণ করা গিয়েছিল বলে সূত্রের খবর। করোনার জন্য বেশকিছু বিষয়ের সফল প্রার্থীদের প্যানেলের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছিল। সাধারণত, সেই প্যানেলের মেয়াদ একবছর পর্যন্ত বৈধ থাকে। আপৎকালীন অবস্থায় তা অনেকটাই বাড়াতে হয়েছিল।
এবার প্রশ্ন আসে, এবার কত শূন্যপদ থাকতে পারে? জানা যাচ্ছে, কলেজে সিবিসিএস চালু হয়ে যাওয়ার পরে শিক্ষকের চাহিদা বেড়েছে। বিষয় পিছু চারজন শিক্ষক রাখার কথা বলেছে ইউজিসি। সেই শর্ত পূরণ করতে গেলে শূন্যপদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। ২০১৭ সাল থেকে কলেজ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ দু’দফায় পাঁচবছর বাড়ানো হয়েছিল। তাই, বিগত কয়েক বছরে অবসরজনিত শূন্যপদের সংখ্যা ছিল নগন্য। বিভিন্ন মহল থেকে ওঠা আপত্তিতে কলেজ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ ৬৮ বছর করার সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তে স্থগিত রেখেছে সরকার। সেই পরিকল্পনা বাতিল হলে এবছর বা আগামী বছর অবসরজনিত শূন্যপদের সংখ্যাও অনেকটাই বাড়বে। সেজন্য প্রার্থীদের আশা, আড়াই থেকে তিন হাজার শূন্যপদ তৈরি হওয়াও অসম্ভব নয়। করোনা পরিস্থিতিতে যখন সর্বক্ষেত্রেই চাকরির পরিসর কমছে, সেখানে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে আশার আলোই দেখছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষিত ও মেধাবী তরুণ-তরুণীরা। করোনার মধ্যেই সমস্ত বিধি মেনে যেভাবে স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট (সেট) কমিশন নিয়েছে, সেটাও ইতিবাচক মনোভাবের পরিচয় বলে মনে করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।